
ফের SIR এর জন্য আত্মহত্যার চেষ্টা। পেশায় রিকশাচালক অশোক সর্দার বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের নীচের রেললাইনে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন বলে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, বঙ্গে SIR ঘোষণার পর থেকেই মনমরা হয়ে থাকতেন বয়স ৬০-এর অশোক সর্দার। তিনি পরিবারের লোকজনকে বলতেন, 'মরে গেলেই ভাল হয়'। আসলে ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে তার নাম ছিল না। তার বাবা-মায়ের নাম ছিল। কিন্তু তারপরও SIR নিয়ে উদ্বেগে দিন কাটত তার। আর সেই দুশ্চিন্তা থেকেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
রাতে তাকে উদ্ধার করার পর নিয়ে আসা হয় আর জি কর হাসপাতালে। সেখানে রাতে ঠিক মতো চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। যদিও ইতিমধ্যেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অপারেশনের জন্য।
আর এই ঘটনা সামনে আসার পর যে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপান উতর আরও বাড়বে, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আসলে বঙ্গে এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই শাসক এবং প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে তরজা তুঙ্গে। একদিকে তৃণমূল অভিযোগ করছে, এসআইআর-এর মাধ্যমে এনআরসি করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে ওপার বাংলা থেকে আসা শরণার্থীরা ভোটাধিকার এবং নাগরিকত্ব দুইই হারাবেন। এই নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর মতে, SIR-এর মৃত্যুর জন্য দায়ী বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশন। তাদের জন্যই সাধারণ মানুষ দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে।
ও দিকে আবার বিজেপি এই দাবির বিপক্ষে লড়ে যাচ্ছে। তাদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় ভুয়ো ও মৃত ভোটারের সংখ্যা প্রচুর। তাই ভোটার তালিকাকে স্বচ্ছ করার জন্যই করা হচ্ছে SIR। এই কাজটা ঠিকমতো হলেই ১ কোটি নাম বাদ যাবে। তাতে ২৬-এর ইলেকশনে বিজেপি আসার সুবিধা হবে বলে হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন শুভুন্দু অধিকারী।
যদিও এই দুই যুযুধান দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করার মাঝেই SIR নিয়ে একের পর এক আত্মহত্যার খবর সামনে আসছে। মূলত ২০০২ ভোটার লিস্টে নাম থাকার ভয়েই এই সব সুইসাইড হচ্ছে বলে দাবি। আর সেই তালিকাতেই আবার আরও একটি নাম যোগ হল। বয়স ৬০-এর অশোক সর্দারও SIR নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে করতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এখন দেখার এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূল কী বলে।