অবশেষে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হল নারদ কাণ্ডে ধৃত তিন মন্ত্রী ও এক রাজনৈতিক নেতার। সোমবার ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও জেলমুক্তি ঘটলেও, নতুন বেঞ্চ গঠন না হওয়া পর্যন্ত ৪ নেতাকেই গৃহবন্দি থাকতে হবে সিবিআই-এর নজরদারিতে।
জানা গিয়েছে, নারদ কাণ্ডে ধৃত ৪ জনের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর সংক্রান্ত নির্দেশে দুই বিচারপতির মতভেদ তৈরি হয়। প্রথমে জামিন মঞ্জুর করেছিলেন বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জামিনের বিরোধিতা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। তাই জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেও ৪ জনকেই হাউস অ্যারেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নারদ মামলায় গ্রেফতার হওয়া থাকা তিন হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের ঘুমের ওষুধ দিতে হয়েছে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় নয়মিত নেবুলাইজার দিতে হচ্ছে। মানসিক চাপের জন্য ওঠানামা করছে রক্তচাপও। মদন মিত্রর দীর্ঘদিনের ফুসফুসের সমস্যা। গত মাসে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ফুসফুসে সংক্রমণের প্যাচ ধরা পড়েছে। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে। ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা হয়েছে। সুগারের সমস্যা থাকায় তাঁর খাবারের দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
গত সোমবার রাজ্যের চার নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসার পর সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ সিবিআই আদালতে শুনানি চলাকালীন পুরো সময়টাই তিনি নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে ছিলেন। শুনানি চলার সময়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও।