নারদ কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করল ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। ২০১৬ সাল থেকে নারদ স্টিং অপারেশন কাণ্ডের মামলা চলছে।
নারদ স্টিং অপারেশন মামলা কী?
এই স্টিং অপারেশনটি নারদ নিউজ করেছিল। স্টিং অপারেশনের ফুটেজ অনুযায়ী, তৃণমূলের ১২ জন মন্ত্রী, নেতা ও এক আইপিএস অফিসার ঘুষ নিচ্ছেন। ২০১৪ সালে স্টিং অপারেশনটি করেন নারদ নিউজ পোর্টালের সিইও ম্যাথ্যু স্যামুয়েল।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে প্রকাশ্যে আসে নারদ স্টিং ফুটেজ। ১২ তৃণমূল নেতা এবং এক আইপিএস-এর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির সদর দফতরে দেখানো ফুটেজ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। আজ নারদ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। এক ঝলকে নারদ মামলার গতি-প্রকৃতি।
নারদ স্টিং অপারেশন মামলার টাইমলাইন
২০১৬ সালের ১৪ মার্চ বিজেপির রাজ্য দফতরে প্রথম প্রকাশ্যে আসে নারদ স্টিং অপারেশনের ফুটেজ।
২০১৬ সালের ১৫ মার্চ সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা।
২০১৬ সালের ১৮ মার্চ মামলার শুনানি শুরু।
২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল নারদ ফুটেজের সত্যতা প্রমাণে হায়দরাবাদে সিএফএসএল-এ পাঠানোর নির্দেশ আদালতের
২০১৬ সালের ১৭ জুন নারদ স্টিং অপারেশনে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৬ সালের ১৯ জুন ম্যাথু স্যামুয়েলের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় এফআইআর দায়ের করেন তত্কালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়।
২০১৬ সালের ২৩ জুন ম্যাথুকে সমন পাঠায় কলকাতা পুলিশ।
২০১৬ সালের ২৫ জুলাই গ্রেফতারির আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ ম্যাথু স্যামুয়েল।
২০১৬ সালের ৫ অগাস্ট ম্যাথুর বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের যাবতীয় পদক্ষেপে স্থগিতাদেশ।
২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট অভিযুক্তদের আইনজীবীদের কাছে জানতে চায়, রাজ্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেনি। ফলে কেন তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে না?
২০১৭ সালের ১৭ মার্চ নারদ তদন্ত সিবিআই-কে হস্তান্তরের নির্দেশ।
কারা অভিযুক্ত নারদ স্টিং অপারেশন মামলায়?
নারদ স্টিং অপারেশনে তৃণমূলের ১২ জন মন্ত্রী ও নেতা ঘুষ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। যে সব নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়, শঙ্কু দেব পাণ্ডা ইত্যাদি।
এছাড়াও আইপিএস এমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে ঘুষের টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।