ডাকাতির আগেই গ্রেফতার ৬ দুষ্কৃতী। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র। সেইসঙ্গে ৬৫ টি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও গয়না। শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুরে।
তাদের পাকড়াও করার পর তল্লাশি চালানো হয়। আর তখন উদ্ধার হয় একের পর এক জিনিস। যা দেখে তাজ্জব হয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন মানুষ।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ৬ ডাকাত। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে শনিবার রাতে গড়িয়ার সন্ধ্যাবাজার এলাকায় অভিযান চালায় পুলশি।
সেখান থেকে তাদের পাকড়াও করে। অভিযোগ, ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া ৬ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: মা-হারা শিশুদের মাতৃদুগ্ধ দিতে তথ্য ব্যাঙ্ক তৈরি করছেন কলকাতার ২ তরুণী
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বিভিন্ন অস্ত্র, জিনিসপত্র। মনে করা হচ্ছে এগুলি ডাকাতির কাজে লাগানো হতে পারত। যার মধ্যে ভোজালি, লোহার রড, লোহা কাটার যন্ত্র। এছাড়া একটি স্কুটিও উদ্ধার হয়েছে।
যার ডিকির মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু রূপোর গয়না। ধৃত ছয় দুষ্কৃতীকে নিয়ে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে সন্ধ্যাবাজার, খুড়িগাছি ও মিশন পল্লী এলাকা থেকে ৬৫ টি মোবাইল ফোন, দুটি ট্যাব ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সেগুলি সবই ডাকাতির জিনিস। তবে পুলিশ আরও তথ্য় পাওয়ার চেষ্টা করছে।
ধৃতদের দুষ্কৃতীর মধ্যে ৫ জনের বাড়ি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। আর একজনের বাড়ি সোনারপুর থানা এলাকায়। ধৃত ৬ জনের বিরুদ্ধেই কলকাতার বিভিন্ন থানা ও জেলার থানাগুলিতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
এদিন ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনার আরও তদন্ত করতে চাইছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
এদিকে, পুলিশের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ তৎপর না হলে ডাকাত ধরা পড়ত না। আগেভাগে তাদের ধরা গিয়েছে। ফলে আটকানো গিয়েছে ডাকাতি। এর পলে অনেক মানুষের উপকার হল। না হলে বড়সড় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।