সন্দেশখালিতে ধৃত তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে আরও একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হল। সোমবার সন্দেশখালি থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপের পরই অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, জাতীয় মহিলা কমিশনের আশ্বাস পাওয়ার পরই এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এসটি কমিশন।
অন্য দিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য সরকার এবং ডিজিকে নোটিশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। সূত্রের খবর, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান ঘিরে গোলমালের ঘটনার পর থেকেই তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার ওই এলাকা। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। জোর করে জমি দখল, মহিলাদের উপর অত্যাচার, যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই নতুন করে তেতে রয়েছে সন্দেশখালি। গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তম, বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে। ধৃত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। গত শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে শিবপ্রসাদকে। তবে শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। এত দিন পরও তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল না, এই নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী নেতারা।
রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বৃহস্পতিবার বলেন, 'আমি ফোর্সের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এখানে সকলের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। আমাদের দিক থেকে যা যা করার আমরা করব। যে সমস্যা আছে, আমরা তা শোনার এবং সমাধান করার চেষ্টা করছি। কারও যদি কোনও সমস্যা থাকে, অভিযোগ থাকে, তবে আমরা সব সময় রয়েছি সমাধান করার জন্য।' তাঁর সংযোজন, 'যাঁরা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ শোনা হচ্ছে এবং খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। যাঁরাই আইন ভঙ্গ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'