Advertisement

করোনার মধ্যেই নতুন বিপত্তি, আলিপুরদুয়ারে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর হানা

করোনা মহামারীর মধ্যেই আলিপুরদুয়ার জেলায় এবার নতুন করে ম্যালেরিয়া, ও ডেঙ্গুর হানা। জেলায় ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই ভেক্টর কন্ট্রোল টিম গঠন করেছে জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তর। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ও মোকাবিলায় জেলার ৬৬ টি পঞ্চায়েতের সঙ্গে শহর এলাকায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভিসিডি টিমের সদস্যদের।

স্বাস্থ্য় দফতরের জরুরি বৈঠক
অসীম দত্ত
  • আলিপুরদুয়ার,
  • 12 Jun 2021,
  • अपडेटेड 5:19 PM IST
  • করোনায় রক্ষা নেই দোসর ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু
  • ভেক্টর কন্ট্রোল টিম গঠন করেছে জেলা প্রশাসন
  • ২০০৬ এর মহামারীর কথা মাথায় রেখে সতর্কতা

করোনা মহামারীর মধ্যেই আলিপুরদুয়ার জেলায় এবার নতুন করে ম্যালেরিয়া, ও ডেঙ্গুর হানা।

ভেক্টর কন্ট্রোল টিম গঠন করেছে জেলা প্রশাসন

জেলায় ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই ভেক্টর কন্ট্রোল টিম গঠন করেছে জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তর। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ও মোকাবিলায় জেলার ৬৬ টি পঞ্চায়েতের সঙ্গে শহর এলাকায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভিসিডি টিমের সদস্যদের। পঞ্চায়েত, পুর এলাকায় স্বাস্থ্য দপ্তরের ভেক্টর কন্ট্রোল ডিজিজ (ভিসিডি) টিমকে বাড়ি বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। পঞ্চায়েত, পুর এলাকায় মশা মারার তেল স্প্রে করার কাজেও জোর দেওয়া হয়েছে।

ভারত-ভুটান সীমান্ত জয়গাঁয় বিশেষ নজর

বর্ষার শুরুতেই  জেলার ছয় বাসিন্দা ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হতেই নড়েচড়ে বসেছে  জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি নজর  দেওয়া হচ্ছে জেলার ভারত-ভুটান সীমান্ত জয়গাঁ শহরে। কারণ, গত কয়েক বছরে জয়গাঁ ডেঙ্গু প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশ চন্দ্র বেরা  জানান, গত জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ১ হাজার জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাতে কালচিনির বাসিন্দা তিন জনের ডেঙ্গু এবং তিন জনের ম্যালেরিয়া ধরা পড়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পতঙ্গবিদ অনন্ত মাঝি বলেন, বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই বর্ষার মরশুমে বাড়ি বাড়ি এডিস মশার লার্ভা খুঁজে তা নষ্ট করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।

পুর এলাকায় গত দু বছরে আক্রান্ত নেই

তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যানে আশার কথা, আলিপুরদুয়ার পুর এলাকায় ২০১৭ সালে একজন, ২০১৮ সালে দু’জন ও ২০১৯ সালে মাত্র এক জন বাসিন্দা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু গত বছর ও চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হবার কোনও খবর নেই।

Advertisement

শনিবার ডুয়ার্স কন্যায় একটি জরুরি বৈঠক

জেলায় ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া সংক্রমণ ঠেকাতে শনিবার ডুয়ার্স কন্যায় একটি জরুরি বৈঠক হয়।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র নাথ মিনা, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: গিরিশচন্দ্র বেরা ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পতঙ্গবিদ অনন্ত মাঝি উপস্থিত ছিলেন। 
অনন্ত মাঝি বলেন প্রাক বর্ষার শুরুতেই মশার লার্ভা নিকেশ করা আমাদের প্রথম কাজ। বাড়ির আনাচে কানাচে, ফুলের টব, পরিত্যক্ত ডাবের খোল ও টায়ারে জমা জল ফেলে দেওয়ার অভিযান শুরু হচ্ছে। তার জন্য যদিও এ নিয়ে অযথা উদ্বেগের কিছু নেই।

২০০৬-এ ম্যালেরিয়া মহামারীর আকার ধারণ করে

উল্লেখ্য ২০০৬ সালে আলিপুরদুয়ার জেলায় ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সরকারি হিসেবে ১২৯ জনের মৃত্যু হয়। ২০০৬ সালের জুলাই মাসে এই জেলায় ম্যালেরিয়া মহামারীর আকার ধারণ করেছিল। জেলার কালচিনি, কুমারগ্রাম, এবং জেলা শহরে ম্যালেরিয়া মারাত্মক আকার ধারণ করে। ২০১৮-১৯ সালে কালচিনি ব্লকের জয়গাঁতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব দেখা দেয়। সেই সময় জয়গাঁ শহরে ১২০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। সরকারি হিসেবে মৃত্যু ঘটে ১২ জনের।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement