যতদিন না ওঁরা ন্যায্য চাকরি পাচ্ছেন, ততদিন ম্যাজিক দেখানো বন্ধ। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এমনটাই বললেন জাদুশিল্পী পি সি সরকার জুনিয়র। লিখলেন, 'এটাই আমার প্রতিবাদ'।
দুর্নীতির অভিযোগ, নিয়োগে বিলম্ব, আইনি জটিলতা। বছরের পর বছর শহরের রাজপথে চাকরির দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। সম্প্রতি আন্দোলনের ১,০০০ দিনে এসে মাথার চুলও কামিয়ে ফেলেন প্রতিবাদী রাসমণি পাত্র। এরপর কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায় SLST চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যোগ্য প্রার্থীরা কবে চাকরি পাবেন? তাঁদের গা থেকে বেকারত্বের তকমা কবে ঘুচবে? সেই বিষয়ে এখনও সদুত্তর নেই কোনও মহলেই।
এমন পরিস্থিতিতে নিরবে সরব হওয়ার পথে হাঁটলেন কিংবদন্তী ম্যাজিসিয়ান পিসি সরকার জুনিয়র। এমনিতেই সমাজের বিভিন্ন দিক, পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতে দেখা যায় তাঁকে। তবে এবার রাসমণিদের ঘটনার পর বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন জাদুশিল্পী। ১৫ ডিসেম্বর নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে লিখেছেন, 'যতদিন না পর্যন্ত ওঁরা নায্য চাকরি পাচ্ছেন, ততদিন আমি ম্যাজিক দেখানো বন্ধ রাখব। এটাই আমার প্রতিবাদ!! জাদুশিল্পী পি সি সরকার জুনিয়র।'
দেখুন সেই পোস্ট:
এই সময়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাদু সম্রাট পি সি সরকার জানিয়েছেন, 'আমিও স্রোতের মতো বয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এখানে এসে ধাক্কা খেয়েছি। মহিলাদের সৌন্দর্য্যের অন্যতম বিষয় চুল। কেন এক চাকরিপ্রার্থীকে চুল কামিয়ে ফেলতে হবে?'
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'আমি নিজের বিবেকের কাছে জবাব দিতে পারছিলাম না।'
প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে মাথা মুড়িয়ে ফেলার পর রাসমণি দাবি করেন, আইনের জট কাটানোর ক্ষমতা শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে। তিনি জানান, ২০১৬ সালের SLST-র নম্বরভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি। সামনের সারির মেধাকে বঞ্চিত করে পিছনের সারির প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে। এবং এসএমএসের মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ হয়েছে। নিয়োগের দাবিতে, প্রতিবাদ হিসাবে তিনি চুল কেটে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলে জানান।