Amartya Sen to Visva-Bharati Authorities: জমি বিতর্কের মাঝে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আক্রমণ নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen)। কর্তৃপক্ষকে পাল্টা চিঠি দিলেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী। কর্তৃপক্ষের বিরোধিতা করার জন্যই এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে দাবি করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই অমর্ত্য় সেনকে আবারও জমি ফেরত দেওয়ার নোটিস দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জমি দখলের দাবি ভিত্তিহীন, কর্তৃপক্ষের উচিত তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তাঁর আরও দাবি,'বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক বিরোধিতা করি, তাই আমার বাড়ি কেড়ে নিতে চাইছে। তাই হয়তো আমাকেই নিশানা করা হচ্ছে।' চিঠিতে তিনি এ-ও লিখেছেন, বাড়তি জমি দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এর জন্য বিশ্বভারতীকেই ক্ষমা চাইতে হবে তাঁর কাছে।
এ প্রসঙ্গে অর্মত্য সেন বলেন,'এটা আমার বাড়ি। আমি এখানেই থাকি। বিশ্বভারতীর কর্তারা যেমন ছাত্রদের তাড়িয়ে দিচ্ছেন, তেমনই আমার বাড়িটা নিয়ে নিতে চান। কেন আচমকা আমার বিরুদ্ধে ওনারা বলতে শুরু করলেন তা বলাও খুব মুশকিল। যে রাজনীতিতে বিশ্বভারতী চলে, যে রাজনীতিতে উপাচার্য নিজেকে চালান তার সঙ্গে আমার মতবিরোধ আছে। এ কারণে এ কাজ কাজ করে থাকতে পারে।'
বৃহস্পতিবার ফের জমির জরিপের জন্য দু'দিন সময় দেওয়া হয়েছে। বোলপুর বিএলআরও অফিসে নিজের জমি মিউটেশন করার জন্য আবেদন জানান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তিনি জানান, এই বাড়ির জমি দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বাবার নামে ছিল। বিতর্ক এড়াতে নিজের নামে করে এই মিউটেশন করার জন্য আবেদন করেছেন অমর্ত্য সেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মিউটেশনের জন্য হেয়ারিং হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, অমর্ত্য সেন মোট ১.৩৮ একর জমি দখল করে রেখেছেন। এর মধ্যে তাঁর জমি ১.২৫ একর। বাকি ১৩ ডেসিমল জমি বিশ্বভারতীর, এই দাবি জানিয়ে অবিলম্বে সেটি ফেরত দেওয়ার আবেদন জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। চিঠিও দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের তরফে। বেশ কিছুদিন ধরেই এই নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বোলপুর এসে তাঁকে কাগজপত্র দিয়ে যান। এই জমি তাঁরই বলে পুরনো নথিও দেখান।