Agarpara : ফের জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ। খড়দা, ব্যারাকপুরের পর এবার আগরপাড়া তারাপুকুর পশ্চিম পল্লীতে। সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের।
অবসরপ্রাপ্ত বিমাকর্মী
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত বীমাকর্মী ৬৫ বছর বয়সী দীপক চৌধুরী বুধবার রাতে বাড়ির লোহার গেট বন্ধ করার জন্য বেরিয়ে ছিলেন। সেই সময় গেটে হাত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বাড়ির সামনেই মৃত্যু হয় দীপকবাবুর।
জমা জল থেকে?
প্রাথমিক অনুমান সেই সময় বাড়ির সামনে জমেছিল জল। এবং লোহার গেট সংলগ্ন কলিং বেলের তার থেকে জমা জল ও লোহার গেট শর্ট-সার্কিট হয়ে যায়।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় খরদহের বলরাম সেবা মন্দির হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
একাধিক প্রশ্ন
বৃহস্পতিবার তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বারাকপুর মর্গে। পর পর জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় স্বভাবতই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এর আগেও
উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে দু'টি পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল মোট ৪ জনের। এর মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছে সরকারি আবাসনে। তাতে মৃত্যু হয় একই পরিবারে ৩ সদস্যের। অপর ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। দুটি ঘটনাতেই শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, পাতুলিয়া সরকারি আবাসনে স্ত্রী পৌলমী দাস ও ছেলে শুভ দাসকে নিয়ে বাস করতেন রাজা দাস নামে এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন দাস দাস পরিবারের ৩ জনেই।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনার পর গোটা আবাসনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
অন্য ঘটনাটি ঘটেছে মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, এদিন দিদিকে পড়তে দিয়ে বাড়ি ফিরছিল স্থানীয় শান্তিনগর হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র হীরালাল রায়। এদিকে টানা বৃষ্টির জেরে জমে থাকা জলে সেই সময় পড়েছিল বিদ্যুতের ছেঁড়া তার।
সেই তার খেয়াল না করে জলে নামতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় হীরালাল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তার পরিবারের সদস্যরা। পৌঁছন পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরাও। প্রায় এক ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।