Advertisement

Rain Forecast Flash Flood Alert: তিস্তা ফুঁসছে, উত্তরবঙ্গে পরিস্থিতি শোচনীয়, পাহাড়ে কী অবস্থা?

Rain Forecast Flash Flood Alert: বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আজ থেকে রবিবার পর্যন্ত উত্তরের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। হড়পা বানের আশঙ্কা করা হয়েছে ডুয়ার্সে। অন্য দিকে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। 

উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ; পাহাড়ে ধস অব্যাহত, এখনও ফুঁসছে তিস্তা
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 11 Jul 2024,
  • अपडेटेड 12:24 PM IST

Rain Forecast Flash Flood Alert: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। দুর্যোগ এখনই পিছু ছাড়ছে না। প্রতিটি জেলাই প্রায় জলমগ্ন। কোথাও নেমেছে ধস। কোথাও জলের নীচে এলাকা। নদীগুলি ফুঁসছে। গত প্রায় ১৫ দিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে। পাহাড়ে টানা বৃষ্টির জেরে জাতীয় সড়কে ধস নেমে বিপত্তি। বারবার ধস সরানো হচ্ছে, আবার নতুন করে অন্য জায়গায় ধস নামছে। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীতে জলস্তর বেড়েছে। তবে আগামী কয়েকদিনে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির কমতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। যা সত্যি হওয়ার আশাতে রয়েছেন এলাকাবাসী।

সোমবার রথের দিন থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্য়া পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির বিরতি ছিল। মঙ্গলরবার রাত থেকে ফের দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়। বুধবার সারাদিনই বৃষ্টি ছিল। পাহাড়ে অবশ্য বৃষ্টি-রোদ দুটোই ছিল। যাতে ভয় পাচ্ছেন পাহাড়বাসী। কারণ টানা বৃষ্টির পর রোদ উঠলে ঝুরঝুরে হয়ে যায় পাহাড়ের মাটি। শুরু হয়ে যায় ধস। বুধবার কার্শিয়াংয়ের মহানদী, নরবং, পাঙ্খাবাড়ি এলাকায় নতুন করে ধস নেমেছে। ধসে যায় একাধিক বাড়ি। এমন পরিস্থিতি আরও হতে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছেন বাসিন্দারা। এর মধ্যে নতুন করে বুধবার বন্ধ হয়ে যায় দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ।

টানা বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীতে জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। কালিঝোরা, গেইলখোলা, বিরিকদাড়া, ২৯ মাইল, লোহাপুলে রাস্তার অনেকটা ধসে গিয়েছে। মেল্লি থেকে রংপোর মাঝে নতুন করে ধস নামায় সিকিমের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পাহাড়ের দুর্যোগ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে তিস্তার জল উপচে পাহাড়ের গায়ে তিস্তার পারে থাকা বাসিন্দাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ছে প্রায়ই। বাঁধ দেওয়া সত্ত্বেও জল উপচে পড়ছে কেন তা নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। পরে অবশ্য় বুধবার বেলা বাড়লে জল নেমে যায়।ফলে পেশক রোড দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
 

Advertisement

তবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে ছোট গাড়ি চলাচল শুরু হতে পারে ২-১ দিনের মধ্যেই বলে খবর। দুটি জায়গায় নতুন করে পাহাড় কাটার কাজ চলছে। এটি ছোট গাড়ির চলাচলের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন করে যদি টানা ভারী বর্ষণ না হয়, তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে রাস্তাটি চালু করে দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবারও দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ির ক্ষেত্রে কমলা সতর্কতা রয়েছে। আলিপুরদুয়ারের ক্ষেত্রে রয়েছে লাল সতর্কতা। টানা অতি ভারী বৃষ্টির জেরে ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীতে জলস্ফীতি ঘটেছে। পাশাপাশি মালদা, বালুরঘাট সহ একাধিক এলাকায় নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে এলাকাগুলিতে। অনেক জায়গায় বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে আবহাওয়া দফতরের সিকিমের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুক্রবারের পর থেকে বৃষ্টি কমতে পারে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement