আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে কর্তব্যরত এক গাইনোকোলজিস্টের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। আলিপুরদুয়ার মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দায়ের করলেন জেলা হাসপাতালেরই এক নার্স।
অভিযোগ, ২০১৮ সালে দোলের দিন মাদক খাইয়ে প্রথমবার ওই নার্সকে ধর্ষণ করেন চিকিৎসক। পরে নিগৃহীতা নার্সের অশ্লীল ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু হয়, তারসঙ্গে চলতে থাকে লাগাতার ধর্ষণ।
মহিলা থানার তরফে জানানো হয়েছে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম চিত্তরঞ্জন দাস ।গত পয়লা জানুয়ারি এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ার মহিলা থানায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা নার্স।।মঙ্গলবার ওই নার্স আলিপুরদুয়ার কোর্টে গোপন জবানবন্দি দেন। এমনকি তার আগে পুলিশ ওই নার্সের মেডিক্যাল টেস্টও করায়। এক তারিখ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও বুধবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলা শহরে। জেলা হাসপাতালের ওই নাম করা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় স্বভাবতই চিকিৎসক এবং নার্সিং স্টাফরাও স্তম্ভিত।
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ ওঠার বিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মন বলেন,কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে আমার কিছু জানানেই।আমাকে কেউ কিছু জানায়ওনি।তাই আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। অভিযোগকারী নার্সের আইনজীবী রাজীব সাহা(পাংকু) বলেন,আমার মক্কেলকে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সিআর দাস মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাগাতার ধর্ষন,ব্ল্যাকমেল এমনকি হুমকিও দিয়েছে। আমার মক্কেল আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন।আশা করছি অভিযুক্ত দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তি পাবে। এদিকে জেলা হাসপাতালের যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে তাকে বার বার ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের নিগহীতা নার্স অভিযোগ করেছেন,২০১৮ সালে দোলের দিন ডাঃ সিআর দাস তাকে প্রথমে নিজের কোয়ার্টারে খাবার খেতে আমন্ত্রণ করেন। তিনি কোয়ার্টারে গেলে ওই সময় সেখানে কেউ ছিল না। এই সু্যোগেই ওই চিকিৎসক তাকে পানীয়ের সাথে মাদক খাইয়ে প্রথম ধর্ষন করেন।অভিযোগ, ওই সময় নার্সের অশ্লীল ছবিও তুলে রাখেন চিকিৎসক। এর পর ওই অশ্লীল ছবি দেখিয়ে আরও একাধিক বার তাকে ধর্ষণ করেন সিআর দাস। এই ঘটনা কাউকে বললে ছবিগুলি ভাইরাল করে দেবারও হুমকি দেন চিকিৎসক। এমনটাই অভিযোগ নাসের্র।
এদিকে জানাগেছে,অভিযুক্ত চিকিৎসকের স্ত্রীও নাম করা একজন ডাক্তার। তাদের এক সন্তানও আছে। এর আগেও ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। যদিও তা নিয়ে থানা-পুলিশ হয়নি ।কিন্তু এবার একেবারে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় চিকিৎসক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। আলিপুরদুয়ার মহিলা থানার তরফে বলা হয়েছে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের সন্ধান চলছে।