ভোটমুখী বাংলায় ক্লাবকমিটিগুলিকে দুর্গাপুজোর অনুদান বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে চলতি বছর ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা হল। এই পদক্ষেপে মমতাকে কটাক্ষ ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর মন্তব্য, 'যতই ঘুষ দিক, যারা সনাতন, হিন্দু, ভারত প্রেমী, তাঁরা কখনওই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করবে না।'
শুভেন্দু আরও দাবি করে বলেন, "পুলিশ ক্লাবগুলিকে গিয়ে বলে টাকা না দিলে পুজোর অনুমতি দেব না, পুলিশ বলে পিতৃপক্ষে প্যান্ডেল উদ্বোধন করতে হবে। এরা অনুমতি পাবে না। টাকা নেওয়ার সঙ্গে সমর্থনের কোনও সম্পর্ক নেই।"
ক্লাব কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার অনুদান দেওয়ার আগে ডিএ, চাকরির দিক, মন্তব্য করেন শুভেন্দু। বলেন, 'যে রাজ্যের ওপর ৭ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ, ২ কোটি ১৫ লক্ষ শিক্ষিত বেকার, ৬০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক, এই মুখ্যমন্ত্রীর আমলে ৮ হাজার ২০০ সরকারি স্কুল বন্ধ হয়েছে। প্রায় সাড়ে নয় হাজার শিল্প বাংলা থেকে সরে গিয়েছে, আর যাই হোক কোনও সুস্থ মাথার লোক ২০২৬-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেবেন না।'
তাঁর আরও মন্তব্য, 'যা পারেন করুন। চাকরি দিন। ৬ লক্ষ চাকরির পোস্ট খালি আছে। ডিএ-টা দিন।' শুভেন্দু এও বলেন, পুজোর অনুদান যারা প্রত্যাখান করবে তাদের সঙ্গে থাকবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর দুর্গাপুজোয় পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতের ফি'তে আরও ছাড়ের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুতের বিলে ৮০ শতাংশ ফি মকুব করা হবে, বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সিইএসই এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদকে এই নির্দেশ দেন। গতবছর যা বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা হয়েছিল।
সেই সঙ্গে বাড়ে পুজোর অনুদান। এবার ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে ক্লাবগুলিকে। গতবছর যা ছিল ৮৫ হাজার টাকা। বাংলায় মোট ৪৫ হাজার ক্লাব আছে। এর মধ্যে ছোট ক্লাব, ফ্ল্যাটের পুজোও রয়েছে। ৫ অক্টোবর হবে পুজো কার্নিভাল। বিসর্জন করা যাবে ২, ৩ ও ৪ অক্টোবর।