Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির পর এবার ভূপতিনগর। আরও একবার আক্রান্ত কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। ভূপতিনগর বোমা বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে গেলে আক্রান্ত হতে হয় এনআইএকে (NIA)। রাতে আলো ফোটার আগে টিম পৌঁছে যায় ভূপতিনগরে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে তৃণমূল নেতাকে আটক করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই ঘটনার নিন্দা করে সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সন্দেশখালির মতো এই ঘটনাতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করলেন তিনি।
শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা কাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে এবং যেহেতু নিয়ন্ত্রণ এখন ভারতের নির্বাচন কমিশনের হাতে, তাই সময় এসেছে ভূপতিনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এসডিপিও কন্টাই, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এসপি এবং ডব্লিউবি পুলিশের ডিজির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার।"
আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার প্ররোচনার কারণে সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের আক্রমণ করার পরেও, তৃণমূল নেতারা এখনও আক্রমণ করার সাহস করতে পারে। তিনি সম্প্রতি কোচবিহার জেলার মাথাভাঙায় রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে এনআইএ সম্পর্কে কথা বলেন।"
"NIA টিম বলাই মাইতি এবং অন্যদের যাদের সমন করা হয়েছিল, তারা সহযোগিতা করেনি তাদের গ্রেফতার করতে গিয়েছিল। পরিবর্তে এই তৃণমূল নেতারা NIA-র অফিসারদের ওপর কীভাবে আক্রমণ করবেন তার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন," এর সঙ্গে পিটিআই সংবাদ সংস্থার ভিডিও শেয়ার করেন।
প্রসঙ্গত, আজ অর্থাৎ শনিবার, NIA টিম সকাল সাড়ে ৫টায় ফোর্স রিকুইজিশন করেছিল। কিন্তু তাদের টিম আগেই গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিল। ৩-৪ জন অফিসারের সঙ্গে ঘটনার সময়ে প্রায় ২০-২৫ জনের কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল বলে জানা গিয়েছে। ভোররাতের সেই অন্ধকারেই তাদের উপর চড়াও হন গ্রামবাসীদের একাংশ, এমনটাই অভিযোগ। ছোড়া হয় ইঁট-পাথর। ভেঙে দেওয়া হয় NIA-এর গাড়ির কাঁচ। ভোটের মুখেই ফের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাদের উপর আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।