রাজ্যজুড়ে অস্থির পরিস্থিতি। কখনও বিধানসভা কক্ষে কখনও সরকারি অফিসে, আবার কখনও রাস্তায় নেবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলা নববর্ষে নতুন খাতা খুলে নতুন ভাবে ব্যবসায়িক অধ্যায় শুরু করেন রাজ্যবাসী। তবে সেই দিনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শুভেন্দুর হাতে নতুন খাতা এটা স্বভাবতই আলাদা ভাবে নতুনত্ব যোগ করে এ রাজ্যের রাজনৈতিক অধ্যায়ে।
সকাল সকাল একটা লাল খাতা হাতে নিয়ে তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে যান শুভেন্দু অধিকারী তার সঙ্গে ছিলেন দলের শত শত কর্মী সমর্থক। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে একটি শোভাযাত্রাও করেন শুভেন্দু।
কিন্ত প্রত্যেকের কাছে একটা রহস্য তৈরি হয়েছিল লাল রঙের খাতা হাতে পুজোর ডালি নিয়ে বর্গভীমা মন্দিরে কেন পৌঁছন শুভেন্দু? ওই ডায়েরি সঙ্গে নিয়ে পুজো দিলেন মন্দিরে। কি আছে শুভেন্দুর ওই লাল রঙের ডায়েরিতে? এ নিয়ে রহস্য তৈরি হতে থাকে সেখানে আগত পর্যটক, পুণ্যার্থী, দর্শক এবং সংবাদমাধ্যমের মধ্যে।
মলুক রাধা মাধব জিউ মন্দির থেকে বর্গভীমা মন্দির পর্যন্ত পদযাত্রা শেষে বর্গভীমা মায়ের কাছে পুজো দেওয়ার পর ফাইলের রহস্য ফাঁস করেন তিনি।
শুভেন্দু বলেন, "বছরের প্রথম দিন, এদিন প্রত্যেকেই তাদের পুরনো খাতা বাদ দিয়ে নতুন খাতার উদ্বোধন করেন। কিন্তু আমি আজ হালফেরানোর খাতা নিয়ে বর্গভীমা মায়ের সম্মুক্ষীণ হয়েছি। কারণ, মায়ের আশীর্বাদ সর্বদা আমার সঙ্গে রয়েছে। তাঁর আশীর্বাদে এখান থেকে দু'বার সাংসদ হয়েছি। নানা ভাবে মায়ের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। তাই নতুন বছরের প্রথম দিনে মায়ের কাছে রাজ্যের হাল ফেরানোর আর্জি করেছি। এই খাতা নিয়ে আশীর্বাদ নিয়েছি। যেভাবে রাজ্যজুড়ে অরাজকতা তৈরি হচ্ছে তাতে অতি দ্রুত রাজ্যের হাল ফিরবে বলে আশাবাদী।"
তবে হাল ফেরানোর জন্য লাল খাতায় রাজ্য সরকারের কোন কোন ইস্যুকে প্রধান হাতিয়ার করেছেন তা নিয়ে এখনও রয়েছে রহস্য।