পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় একের পর এক ট্যুর বাতিল হচ্ছে কাশ্মীরের। নব্বইয়ের দশকের অশান্তির পর কেন্দ্র সরকারের জোরালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কোভিড বিরতির পর ফেরা পর্যটক স্রোত ‘ভূস্বর্গ’ হিসেবে পরিচিত কাশ্মীরে ফের ফিরে এসেছিল। কিন্তু মঙ্গলবারের বিভীষিকার পর ভ্রমণ সংস্থাগুলোতে নেমে এসেছে অন্ধকার।
কলকাতার একটি ভ্রমণ সংস্থার তরফে অতীন্দ্র কুণ্ডু বললেন, 'পুলওয়ামা হামলা পর কোভিডের বিরতি বাদ দিলে পর্যটনের জোয়ার নিয়ে ২০১৯–২১ সালে মনে হচ্ছিল আশির দশকের দিন ফিরে এসেছে। কিন্তু এ বার আতঙ্কের মাত্রাই অন্যরকম। এমাসের সব বুকিং ক্যান্সেল হয়েছে। টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে। আগামী মাসের তিনটি গ্রুপও পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবে। অগস্ট-সেপ্টেম্বরের বুকিং এখন শঙ্কার মধ্যে।'
বিশেষ করে ছোট সংস্থাগুলোই বড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে। একটি মাঝারি ভ্রমণ সংস্থার কর্ণধার শঙ্কর বসু বলেন, 'কাশ্মীরে ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা সম্প্রতি বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনার পর এখনই কেউ কাশ্মীর ভ্রমণে যেতে চাইছেন না। ইতিমধ্যেই বহু ট্যুর বাতিল, পর্যটকদের টাকা ফেরত দেওয়ার ঝঞ্ঝাট শুরু।'
তিনি আরও বললেন, 'জুলাইয়ে অমরনাথ যাত্রার জন্য শুরু হওয়া রেজিস্ট্রেশনেও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। সরকার কী নির্দেশ দেবে, তা দেখার পরই বুকিং করবে লোকজন। বহু পর্যটক হোটেলে অগ্রিম টাকা দিয়ে বসে আছেন; ফেরত পাবে কি না জানা নেই।'
ট্র্যাভেল এজেন্টস অফ বেঙ্গলের ভাইস প্রেসিডেন্ট শমীক ভট্টাচার্য বললেন, 'পিক সিজনে এমন ঘটনা আমাদের সম্পূর্ণ চরম ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। অমরনাথ যাত্রা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।'
অল ইন্ডিয়া ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস-এর প্রেসিডেন্ট অনিল পাঞ্জাবি বলেছেন, 'এই ঘটনার ইমপ্যাক্ট খুব খারাপ। মানুষের মনে বসে গেছে, আমি কাশ্মীর যাব না। ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ ক্যান্সলেশন হচ্ছে। মানুষের মন খুব খারাপ হয়ে গেছে। অন্য জায়গাতে যেতেও ভয় পাচ্ছে। মানুষ খুব সেনসিটিভ। পরিবার নিয়ে সবসময় প্রোটেকটিভ থাকতে চায়।'