আর পাঁচটা দিনের মতোই দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন প্রফুল্ল রায়। বাজারের রাস্তা ধরে আসছিলেন। হঠাতই এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখে চক্ষু চড়কগাছ। রাস্তায় পড়ে টাকার নোট। 'হতেই পারে, হয় তো কারও পকেট থেকে পড়ে গিয়েছে,' ভেবে যেই না একটি নোট তুললেন, দ্বিতীয়বার অবাক হলেন প্রফুল্ল। না, ভারতীয় রুপি নয়, পাকিস্তানি টাকাই ছড়িয়ে বাজারের রাস্তায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে। ভারত পাকিস্তান সংঘাতের রেশের মধ্যেই এমন ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ভারতের মাটিতে এভাবে পাকিস্তানি টাকা কীভাবে এল, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিষয়টি চাউর হতেই আতঙ্কে স্থানীয়রা। এই বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত তদন্তের দাবি তুলছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে মেখলিগঞ্জের রানীরহাট বাজারে প্রফুল্ল রায় নামে এক দোকানদার রাস্তা দিয়ে আসছিলেন। সেই সময় হঠাৎই রাস্তার ওপর টাকা পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তা কুড়িয়ে নোটটিকে উল্টে পাল্টে দেখেই বুঝতে পারেন যে, সেটা ভারতের নয়, পাকিস্তানের টাকা। একটি ১০০ টাকা ও একটি ১০ টাকার পাকিস্তানি নোট কুড়িয়ে পান ওই দোকানদার।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই দোকানদার এলাকার লোকজনদের এই বিষয়টি জানাতেই হইচই পরে যায়। কীভাবে পাকিস্তানি টাকা রানীরহাটে এল তা ঘিরেই কৌতূহল যেমন বেড়েছে তেমনি উদ্বেগও ছড়িয়েছে।
অনেকে আবার বলছেন, কাছেই চ্যাংড়াবান্ধায় মানি এক্সচেঞ্জ কাউন্টার রয়েছে। তবে সেই কাউন্টারে পাকিস্তানি টাকা এক্সচেঞ্জ করা হয় না। ফলে সেই টাকা কোথা থেকে আসল তা ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। তাহলে কি এলাকারই কোনও ব্যক্তির সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে? তাদের কাছ থেকেই কি কোনও ভাবে সেই টাকাগুলো পড়ে গিয়েছে? নাকি ভারতে অচল জেনেই কেউ টাকাগুলি ফেলে দিয়েছে?
স্থানীয়দের তরফে এই বিষয়ে থানায় জানানো হয়েছে। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। তবে আপাতত এক অজানা আতঙ্কে ভুগছেন রানীরহাট বাজারের দোকানদাররা।
সংবাদদাতা: উৎপল পোদ্দার