Advertisement

Paschim Medinipur: মহিলাদের হাতে মারের ভয়ে সব মদের ঠেক বন্ধ গোটা গ্রামে, লাঠির বাড়িতেই মদ-শূন্য

এলাকায় মদ বিক্রি ও নেশাগ্রস্তদের দাপটে ক্ষতি হচ্ছিল প্রচুর। পাড়ার মোড়ে মোড়ে নেশা করে লুটিয়ে পড়ে থাকত। সম্প্রতি একজনের মৃত্যুও হয়েছিল। নেশাগ্রস্তদের রুখতে রণমূর্তি ধারণ করে এগিয়ে আসেন গ্রামের মহিলারাই। প্রশাসনের ওপরে ভরসা হারিয়ে নিজেরাই লাঠি ধরে গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে একপ্রকার অভিযান শুরু করেন। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের চাঁদুর গ্রামের। 

মদের ঠেক বন্ধ করতে লাঠি হাতে পথে প্রমিলা বাহিনীমদের ঠেক বন্ধ করতে লাঠি হাতে পথে প্রমিলা বাহিনী
অহনা চট্টোপাধ্যায়
  • পশ্চিম মেদিনীপুর,
  • 03 Mar 2025,
  • अपडेटेड 9:39 AM IST

এলাকায় মদ বিক্রি ও নেশাগ্রস্তদের দাপটে ক্ষতি হচ্ছিল প্রচুর। পাড়ার মোড়ে মোড়ে নেশা করে লুটিয়ে পড়ে থাকত। সম্প্রতি একজনের মৃত্যুও হয়েছিল। নেশাগ্রস্তদের রুখতে রণমূর্তি ধারণ করে এগিয়ে আসেন গ্রামের মহিলারাই। প্রশাসনের ওপরে ভরসা হারিয়ে নিজেরাই লাঠি ধরে গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে একপ্রকার অভিযান শুরু করেন। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের চাঁদুর গ্রামের। 

মদের ঠেক উচ্ছেদ করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় কাউকে দেখলেই লাঠির বাড়ি দেন মহিলারা। টানা কয়েক সপ্তাহ এমন চলতেই দীর্ঘদিনের পুরনো মদের ঠেক শূন্য। গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা বলছেন, 'গ্রামের চায়ের দোকান, মুদির দোকান সবেতেই চলত রমরমিয়ে মদের কারবার। রাত ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোনো যেত না, শুধু মদের গন্ধ- আর নেশাগ্রস্তদের দৌরাত্ম্য। তবে এখন গ্রামের প্রমীলা বাহিনীর জন্য গ্রামে শান্তি ফিরেছে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সামিল হয়েছেন মহিলা প্রধান। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান মহকুমা শাসকও।

জানা যায়, চাঁদুর গ্রামে প্রায় ৭০০ পরিবারের বসবাস। কিন্তু এই গ্রামে বেশ কয়েক বছর ধরে রমরমিয়ে চলছিল মদের কারবার। বেশিরভাগ বাড়িতেই মদ খাওয়া নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। মদ খেয়ে মারাও গিয়েছেন বেশ কয়েকজন। এই নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনকে গ্রামের মানুষজন জানালেও গ্রামে মদ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় প্রশাসন।

কিছুদিন আগে গ্রামের পুকুর থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, মদ্যপ অবস্থায় জলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তারপরেই এলাকার মানুষ অভিযোগ তোলেন মদ খাওয়ার ফলেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের মহিলারা। দ্রুততার সঙ্গে একত্রিত হন তাঁরা। তারপরে গ্রামে যেখানে যেখানে মদের কারবার চলত সেখান থেকে তাঁরা মদ নষ্ট করা শুরু করেন। শুধু তাই নয়, প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে গ্রামের মহিলারা আইন তুলে নেন নিজেদের হাতে।  

গ্রামের মহিলাদের এই আন্দোলনে সামিল মনোহরপুর ৬/২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান মাধুরী সি। তিনিও এই আন্দোলনে সামিল হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মদ খেয়ে মাতলামি করলেই প্রকাশ্যে লাঠি হাতে মহিলারা একত্রিত হয়ে মারছেন।

Advertisement

অবশেষে গ্রামের মহিলাদের ভয়ে গ্রামের মদের কারবার ও মদ খাওয়া বন্ধ হয়েছে। মদ বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে। মহিলাদের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার নবীন থেকে প্রবীণ। গ্রামের মহিলাদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমান বিশ্বাস।

Read more!
Advertisement
Advertisement