পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের পাঁচেট গ্রামে মধ্যরাতে এক যুবককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বছর ৩৫-এর ওই যুবকের মৃতদেহ বাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ওই যুবক বাড়িতে খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। বাড়ির পাশেই একটি মেলা চলছিল, যার কারণে এলাকায় বাড়তি ভিড় ছিল। ভোর রাতে তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী চিৎকার করে প্রতিবেশীদের জানান যে, তাঁর স্বামীকে কেউ বা কারা হত্যা করেছে। প্রতিবেশীরা তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দিলে পটাশপুর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ মৃতের স্ত্রী এবং তাঁর মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
জানা যায়, কয়েক বছর আগে ওই যুবক প্রথম বিয়ে করেন। পারিবারিক অশান্তির কারণে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর তিনি বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এক গৃহবধূকে বিয়ে করেন। তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার ঝামেলার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে কোনো রক্তের দাগ বা বাইরের মানুষের প্রবেশের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। স্ত্রীর বিবরণে অসঙ্গতি থাকায় তাকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃত যুবকের শরীরের ক্ষতচিহ্ন থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, তাকে খুব কাছ থেকে আঘাত করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশীদের একাংশের মতে, পারিবারিক অশান্তি বা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে।