Advertisement

Pintu Mahato: 'বাপ কা বেটা', ফুটবলে লাথি মেরে গৃহপ্রবেশ একরত্তির, ভাইরাল পিন্টু মাহাতোর ছেলের ভিডিও

মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢড়রাশোল গ্রামে ফুটবলপ্রেমের এক নিদর্শন উঠে এল। জঙ্গলমহলের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার পিন্টু মাহাতোর পরিবারে সদ্যোজাত পুত্রসন্তান জন্ম নেওয়ার পর, তাকে স্বাগত জানাতে যে অভিনব পন্থা নেওয়া হয়েছে, তা ছুঁয়ে গেছে সকলের মন।

পিন্টু মাহাতোর একরত্তি ছেলে।-ফাইল ছবিপিন্টু মাহাতোর একরত্তি ছেলে।-ফাইল ছবি
প্রীতম ব্যানার্জী
  • কলকাতা,
  • 30 Jun 2025,
  • अपडेटेड 1:12 PM IST
  • মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢড়রাশোল গ্রামে ফুটবলপ্রেমের এক নিদর্শন উঠে এল।
  • জঙ্গলমহলের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার পিন্টু মাহাতোর পরিবারে সদ্যোজাত পুত্রসন্তান জন্ম নেওয়ার পর, তাকে স্বাগত জানাতে যে অভিনব পন্থা নেওয়া হয়েছে, তা ছুঁয়ে গেছে সকলের মন।

মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢড়রাশোল গ্রামে ফুটবলপ্রেমের এক নিদর্শন উঠে এল। জঙ্গলমহলের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার পিন্টু মাহাতোর পরিবারে সদ্যোজাত পুত্রসন্তান জন্ম নেওয়ার পর, তাকে স্বাগত জানাতে যে অভিনব পন্থা নেওয়া হয়েছে, তা ছুঁয়ে গেছে সকলের মন।

১৯ জুন পিন্টুর স্ত্রী অঞ্জলি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। সদ্যোজাতের নাম রাখা হয়েছে প্রিহান। সোমবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতেই ছেলেকে ঘরে তোলার মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখতে বাড়ির দরজায় রাখা হয় একটি ফুটবল। ফুলে মোড়া সেই প্রবেশপথে পিন্টুর দিদি কোলে সদ্যোজাতকে নিয়ে আসেন, আর ছোট্ট প্রিহানের পা ছোঁয়ানো হয় ফুটবলে। ঠিক সেই মুহূর্তে মোবাইলে বাজতে থাকে বাবার, অর্থাৎ পিন্টু মাহাতোর এক ম্যাচে গোল করার সময়ের ধারাভাষ্য।

ভিডিওটি ভাইরাল হতেই প্রশংসায় ভেসে গেছে পিন্টুর পরিবার। অনেকেই বলছেন – কথায় আছে, 'বাপ কে বেটা, সিপাহি কা ঘোড়া!' ছোট্ট প্রিহানের এই ফুটবলে শট যেন ভবিষ্যতের অঙ্গীকার।

পিন্টু মাহাতো এক সময় মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছিলেন। ডার্বিতে জোড়া গোল করে হয়েছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। দারিদ্র্য আর প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ফুটবলে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি ডায়মন্ড হারবার এফসি-র হয়ে খেলছেন ও নৌবাহিনীতে কর্মরত।

নিজের সন্তানের জন্য পিন্টুর আশাবাদ, 'আমার ছেলে যেন ছোট থেকে সঠিক প্রশিক্ষণ পায়। আমি যেমন সুযোগ পাইনি, সে যেন সেগুলো পায়। ফুটবলই আমাদের পরিবারের রক্তে মিশে আছে।'

গ্রামবাসী রামতনু মাহাত ও অমিত মাহাত বলেন, 'আমাদের গ্রামের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে ফুটবল ভালোবাসে। পিন্টুর মাধ্যমে আমরা গর্বিত। আমরা চাই প্রিহানও একদিন দেশের নাম উজ্জ্বল করুক।'

রিপোর্টার- শাজাহান আলি


 

Read more!
Advertisement
Advertisement