শুক্রবার দুপুরেই দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে পৌঁছচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ তাঁর দুর্গাপুরে নামার কথা। এরপর কনভয়ে নেহরু স্টেডিয়ামে পৌঁছে বিকেল ২টো নাগাদ শুরু হবে জনসভা। সেখানে তিনি বাংলার জন্য তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
দলীয় কর্মীরা ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সভার আমন্ত্রণপত্র বিলি করছেন। নেহরু স্টেডিয়ামে চলছে প্রস্তুতির কাজ, যেখানে নেতৃত্বের পাশাপাশি বহু কর্মীও অংশ নিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১,৯৫০ কোটি টাকার তেল ও গ্যাস পরিকাঠামো প্রকল্পের শিলান্যাস, যার মাধ্যমে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। পাশাপাশি উদ্বোধন করবেন দুর্গাপুর-কলকাতা ১৩২ কিমি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের অংশ, যার ব্যয় ১,১৯০ কোটি।
এছাড়াও, পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম যুক্ত করার প্রকল্পটিও তিনি জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন বলে জানা যাচ্ছে। যার আনুমানিক ব্যয় ১,৪৫৭ কোটি।
রেল পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। যার ব্যয় ৩৯০ কোটি। পাশাপাশি, পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী। যার মোট ব্যয় ৩৮০ কোটি।
বিকেল ৪টা নাগাদ দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তবে আবহাওয়া বা নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে সময়সূচিতে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। ঘোষণাগুলি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দিক থেকেও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে মহল।