জয়ন্ত পাল। হুগলির চন্ডীতলা থানার আইসি। একটি নীল রঙের চার চাকা গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন হাওড়ার এনএস রোড ধরে। সঙ্গে একটি সাদা চারচাকা গাড়ি ছিল। দুটো গাড়ি মিলিয়ে মোট চারজন ছিলেন। ব্যাটরা থানা ও শিবপুর থানার মাঝামাঝি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিজেদের মধ্যে বচসা থেকেই এই দুর্ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আইসি। তাঁকে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ এখনও কিছু বলতে চাইছে না।
হাওড়ার ঘোষ পাড়া পেট্রোল পাম্পের সামনে গুলিবিদ্ধ এক পুলিশ অফিসার। তার হাতে গুলি লাগে। রাত এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ব্যাটরা ও শিবপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি গুলির খোল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গুলিবিদ্ধ ওই অফিসারের নাম জয়ন্ত পাল। হুগলী জেলায় কর্মরত। তাকে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় ওই অফিসারের সঙ্গে এক মহিলা ছিলেন। একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়। যেটি আটক করেছে পুলিশ। ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হাসপাতালে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই অফিসারকে। হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসারেরা রয়েছেন ঘটনাস্থলে। ওই মহিলার সঙ্গে কী সম্পর্ক তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। মহিলার সঙ্গে বিবাদের জেরেই কি এই ঘটনা! তদন্ত করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ.
অন্যদিকে পুলিশ হয়েও পুলিশের গলা টিপলেন ওসি! মারধর, হাসপাতাল ভাঙচুরে সাসপেন্ড আশরাফুল। নিজেই পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, অথচ পুলিশের ওপরেই হামলা! বীরভূম ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ওসি আশরাফুল শেখকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে পুলিশের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতাল ভাঙচুর ও চিকিৎসক-নার্সদের হেনস্তার অভিযোগে তাঁকে এবং পরিবারের ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিয়ের ছুটিতে মুর্শিদাবাদের লালবাগে নিজের বাড়িতে ছিলেন আশরাফুল। মঙ্গলবার রাতে অসুস্থ মাকে কৃষ্ণপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে। অভিযোগ, সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন আশরাফুল এবং ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে লালগোলা থানার ওসি অতনু হালদার, এসআই কল্যাণ সিংহ রায়সহ দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হন আশরাফুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, ওসি অতনু হালদারের গলা চেপে ধরেন আশরাফুল, এসআই কল্যাণ সিংহ রায়ের আঙুল ভেঙে দেওয়া হয় এবং দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ। জানা যায়, এর আগেও কীর্ণাহার থানার ওসি থাকাকালীন এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার ফের গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে গেলেন আশরাফুল শেখ। এমনকি তার নামে অভিযোগ ও দায়ের হয়েছিল দিদিকে বলো তে। পরে তাকে কীর্ণাহার থানার ওসি থেকে বদলি করা হয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো তে।
রিপোর্টার: বৈদ্যনাথ ঝা