যানজটে নাকাল সিকিম-কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা
সেবক-রংপো রেলপথ শুরু হতে চলেছে। পাশাপাশি সিকিমের জাতীয় সড়ক ক্রমশ যানজটে পরিপূর্ণ হচ্ছে। অন্যদিকে সিকিম যাওয়ার গাড়ির তাড়ায় একই রাস্তা দিয়ে কালিম্পং যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মানুষকে। সব মিলিয়ে ঘেঁটে ঘ অবস্থা।
আলাদা ট্রাফি ইউনিট
সেবক থেকে সিকিম-কালিম্পং যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে সেবক থেকে তিস্তাবাজার পর্যন্ত যানজট নিয়ন্ত্রণে রেখে সুষ্ঠ ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু রাখতে পৃথক ট্রাফিক ইউনিট চালু করা হচ্ছে। কালিম্পং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দিয়ে এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
আপাতত থানার পুলিশ ও সিপাই দিয়ে কাজ চলছে
সেবক থেকে তিস্তা বাজার পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাতে আপাতত কিছু পুলিশ কনস্টেবল এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার নামিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। তবে পৃথকভাবে এই এলাকার জন্য ট্রাফিক ইউনিট তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কালিম্পং এর পুলিশ সুপার হরিকৃষ্ণ পাই জানিয়েছেন, হাইওয়ে ট্রাফিকের আলাদা ইউনিট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে কালিম্পং জেলা পুলিশের।
সন্ধ্যার পরও রাস্তায় থাকবে পুলিশ
নতুন ইউনিট চালু হলে একদিকে যেমন যানজট নিয়ন্ত্রণে অনেকটা সুবিধে হবে, তেমনই সন্ধ্যার পর ওইসব এলাকার নিরাপত্তা অনেকটাই সুরক্ষিত হবে। এই মুহূর্তে সন্ধ্যার পর থেকে গাড়ি-ঘোড়া চললেও বেশিরভাগ এলাকায় অন্ধকার থাকায় দুর্ঘটনার পাশাপাশি অন্যান্য দুষ্কৃতী উপদ্রবও রয়েছে।
যানজট-ধসে দুর্বিষহ জীবন
শিলিগুড়ি থেকে বেরিয়ে এ সেবক থেকে যে রাস্তাটি সোজা সেখান থেকে সিকিম চলে গিয়েছে, সেই রাস্তায় বহুদূর পর্যন্ত কালিম্পং যাওয়ারও কমন রাস্তা। এরই মাঝে অনেক জায়গা ধ্বস প্রবণ। তার মধ্যে সেতিঝোরা, আঙারিঝোরা, লোহাপুল, ২৯ মাইল, রিয়াং এর মতো স্পর্শকাতর এলাকা রয়েছে। সেগুলিতে ধস নামলে এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করা শিবেরও অসাধ্য হয়ে পড়ে।
রাস্তাতেই অভিযোগ
পাহাড়ি থানাগুলিতকে সমতলের মতো অত রোজকার অপরাধের ঘনঘটার অভিযোগ থাকে না। ফলে কাজের চাপ কিছুটা কম। ফলে বাড়তি সময় দিয়ে যদি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তাহলে তা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে। পাশাপাশি অপরাধের একটা বড় অংশ রাস্তাতে ঘটে। চুরি, ছিনতাই, দুর্ঘটনা অনেকটাই কম হবে রাতে পুলিশি প্রহরা থাকলে।