Advertisement

Purba Bardhaman Crime: গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, মঙ্গলকোটে ধৃত রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী

পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার পুলিশ গ্রেফতার করল রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শোলা শিল্পীকে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে উঠেছে। নিগৃহীতার অভিযোগ, ওই শোলা শিল্পী কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মঙ্গলকোটের বনকাপাসি গ্রামে।

প্রতীকী ছবিপ্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • মঙ্গলকোট,
  • 10 Oct 2022,
  • अपडेटेड 3:52 PM IST
  • পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার পুলিশ গ্রেফতার করল রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শোলা শিল্পীকে
  • ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে উঠেছে

পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার পুলিশ গ্রেফতার করল রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শোলা শিল্পীকে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে  এক  গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে উঠেছে। নিগৃহীতার অভিযোগ, ওই শোলা শিল্পী কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে  মঙ্গলকোটের বনকাপাসি গ্রামে। 

অভিযুক্ত শোলা শিল্পীর নাম আশিস মালাকার। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, তিনি ওই শোলা শিল্পীর কাছে কাজ শিখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার পরিবর্তে শোলা শিল্পী তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। এমনকি তাকে ধর্ষণও করে। পরে ওই মহিলার গোপন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে  মহিলা পরিবারের কাছে গোটা বিষয়টি জানান। এরপর পরিবারের সদস্যরা ওই শোলা শিল্পীর বাড়িতে চড়াও হন। পরে মহিলা থানায় গিয়ে শোলা শিল্পীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।

 মহিলার অভিযোগ, তার গোপন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন শিল্পী আশিস মালাকার। সেই ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেননি। অবশেষে সাহস জুগিয়ে ওই মহিলা শোলা শিল্পীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ওই শোলা শিল্পীকে গ্রেফতার করেছে।

আরও পড়ুন

মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে শোলা শিল্পীকে গ্রেফতার করার পর তাকে আদালতে তোলা হয়। কাটোয়ার বনকাপাসি গ্রামের বাসিন্দা ওই শিল্পী। ওই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই শোলা শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তাই গ্রামটি লোকমুখে শোলা শিল্পীদের গ্রাম হিসেবে পরিচিত। শোলার কাজের জন্য অভিযুক্ত শিল্পী একসময় রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন। এমনকি তাকে শিল্পগুরু উপাধিও দেওয়া হয়। সেই সূত্রেই মহিলা তার কাছ থেকে কাজ শিখতে চেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শোলা শিল্পীদের সরকারি প্রশিক্ষণ শিবিরে আশিস মালাকারের কাছে নির্যাতিতা মহিলা শোলার কাজ শিখতে যেতেন। মহিলাকে বড় কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আশিস মালাকার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। গ্রামে এই ঘটনা জানাজানি হলে রবিবার দুপুরে নির্যাতিতা মহিলাকে সঙ্গে করে পাড়ার লোকেরা আশিসের বাড়িতে চড়াও হয়ে বিক্ষোভ দেখায়। সেই সময় আশিস মালাকারকে হেনস্থাও করা হয়েছিল। গ্রামে অশান্তির খবর পেয়ে পুলিশ আশিস মালাকারকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট থানায় নিয়ে আসে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, গত দুবছর ধরে শোলার কাজের নাম করে নির্যাতিতাকে আশিস বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। যদিও  অভিযুক্ত আশিস মালাকার তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement