ক্লাসরুমে ছাত্রের সঙ্গে অধ্যাপিকার বিয়ের ভাইরাল ভিডিয়োকাণ্ডে নয়া মোড়। 'কোনও প্রজেক্ট নয়, অ্যাক্টিভিটি ছিল', বিতর্কের আবহে আজতক বাংলাকে এমনটাই বললেন অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা সংক্ষেপে ম্যাকাউটে ক্লাসরুমে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের সঙ্গে তাঁরই বিভাগীয় প্রধান পায়েলের বিয়ের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in। এই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। ক্লাসরুমের মধ্যে কীভাবে বিয়ের আসর বসল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। গতকালই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন যে, ওই অধ্যাপিকা তাঁকে বলেছেন, এটা সাইকোড্রামার অংশ। অন্য দিকে, পায়েল জানালেন এটা কোনও প্রজেক্ট নয়, অ্যাক্টিভিটি। অধ্যাপিকা এ-ও জানিয়েছেন, তিনি বিবাহিতা।
ঠিক কী বলেছেন পায়েল?
বিয়ে-বিতর্ক প্রসঙ্গে আজতক বাংলাকে পায়েল বলেন, 'আমাদের ফ্রেশার্স পার্টি হয়। সেখানে যেরকম নাচ, গান, ড্রামা পরিকল্পনা করা হয়, এটা একটা ড্রামার অংশ। ড্রামার ছোট ক্লিপ ভাইরাল করে দেয় কেউ...তার মধ্যে একটা ক্লিপ ধরে একজন ভুল ভাবে, বলব নোংরা ভাবে প্রেজেন্ট করে। আমি একজন বিবাহিত মহিলা, আমার পরিবারে কী প্রভাব ফেলতে পারে, বাচ্চা ছেলেগুলো রয়েছে, তাদের বাবা-মার মনে কী প্রভাব ফেলতে পারে!'
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, প্রথম বর্ষের এক ছাত্র কনের বেশে থাকা পায়েলের সিঁথিতে সিঁদুর পরাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে পায়েল বলেন, 'সিঁদুর বলবেন না। ওটা আবির ছিল। স্টেজে যেমন ড্রামা হয়, সেরকমই করা হয়েছে।'
কেন ক্লাসরুমের মধ্য়ে এমন ড্রামা করা হল? এই প্রসঙ্গে পায়েল বলেন, 'আমার বিভাগে অত পড়ুয়া নেই। অনেক পড়ুয়া হলে স্টেজে করতাম। ছোট ঘর, তাই বিভাগের মধ্যেই বরাবর হয়ে এসেছে।' পায়েল এ-ও বলেছেন, 'একবারও বলছি না, প্রজেক্টের পার্ট। একটা অ্যাক্টিভিটি, ড্রামা।'
ওই অধ্যাপিকা আরও বলেছেন যে, 'আমি একদম বলব না যে সাপোর্ট করছে না আমার বিশ্ববিদ্যালয়। ওরা তদন্ত করে দেখছে। তাই ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। যে ছড়িয়েছে এটা, তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করব।ছোট বিষয়টাকে এভাবে বড় করে দেখানো হচ্ছে।'