
SIR প্রক্রিয়ায় BLO-দের চাপ নিয়ে যেখানে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় সেখানে মাত্র ১৫ দিনে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেললেন বৃষকেতু কুইরি। তিনি পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির BLO।
BLO-দের কাজের চাপে আত্মহত্যার করার অভিযোগ উঠেছে একের পর এক। সম্প্রতি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও BLO-র মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন নির্বাচন কমিশনের SIR প্রক্রিয়াকেই। সেই জায়গায় এক ভিন্ন চিত্র দেখা গিয়েছে পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডিতে। SIR প্রক্রিয়ায় নিজের কাজ ১৫ দিনে সম্পূর্ণ শেষ করে নজির গড়েছেন বাঘমুন্ডি ব্লকের প্রিয়গড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বৃষকেতু কুইরি। তাঁর বাড়ি বাঘমুন্ডি ব্লকের গাগী গ্রামে। যেখানে ভোটার সংখ্যা ৭৭০।
বৃষকেতু বলেন, '৪ তারিখ থেকে যখন ফর্ম দেওয়া শুরু হয়েছে তখন থেকেই আমি ফর্মের দিতে শুরু করেছিলাম। সঙ্গে সঙ্গেই ভোটারদের ফর্ম ফিলআপ করতে সাহায্যও করেছি যাতে ভুল ফিলআপ না হয়। ফলে যে ভোটাররা সহজে ফর্ম ফিলআপ করতে পারছিলেন না, তাদেরও দ্রুত ফিলআপ হয়ে গিয়েছে।'
গ্রামের শিক্ষিত যুবকরাও ফর্ম ফিলআপ করতে স্থানীয়দের সাহায্য করায় তাঁর কাজ আরও সহজ হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বৃষকেতু। তিনি বলেন, 'আমি যে সমস্ত ফর্ম পেয়েছি সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাইজেশন করে দিয়েছি। আমার ১৪ দিনে ৯০% কাজ হয়েছিল। ১৫ দিনে সম্পূর্ণ ১০০ ভাগই করে দিয়েছি। সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন সহ আমার ১৮ নভেম্বরেই কাজ শেষ হয়েছে। আর আমি প্রথম থেকেই যে ফর্মগুলো পাচ্ছিলাম সেগুলো ক্লিয়ার করে যাচ্ছিলাম। তখন সারভারের কোনও অসুবিধা ছিল না। ফলে আমি অতি সহজেই আপলোড করেছি। তেমনি রাতও জেগেছি।'
রাত ১২টা, ১টা, কখনও কখনও রাত ৩টে পর্যন্তও SIR-এর কাজ করেছেন বৃষকেতু। ১৫ দিনে SIR-এর কাজও শেষ করেছেন, সঙ্গে স্কুলের ডিউটিও পালন করেছেন।
এই বিষয়ে বাঘমুন্ডি ব্লকের ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার আর্য বলেন, 'BLO-র দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দ্রুত কাজ করেছে বৃষকেতু। ও যা দাবি করছে সব সত্যি। ৭৭০ জনের ফর্ম দেওয়া, ফর্ম সংগ্রহ এবং তা পোর্টালে আপলোন দেয়নি।'
রিপোর্টার: সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়