Advertisement

Asmika Das: অস্মিকা পেল ৯ কোটির সেই ইঞ্জেকশন, ক্রাউড ফান্ডিংয়েই বাঁচল প্রাণ

নেটিজেনদের উদ্যোগে ৯ কোটির জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন পেল ১৬ মাসের ছোট্ট অস্মিকা দাস। স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (SMA) বিরল জিনঘটিত রোগে আক্রান্ত অস্মিকা। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ কোটি টাকা দামের একটি ইঞ্জেকশন। অবশেষে সেই ইঞ্জেকশন পেল রানাঘাটের শুভঙ্কর দাসের ছোট্ট মেয়ে অস্মিকা। প্রথম কিস্তিতে ৯ কোটি টাকা দিয়ে মিলল সেই বিরল ইঞ্জেশন। 

৯ কোটির জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন পেল ১৬ মাসের ছোট্ট অস্মিকা দাস৯ কোটির জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন পেল ১৬ মাসের ছোট্ট অস্মিকা দাস
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 20 Jun 2025,
  • अपडेटेड 11:28 AM IST

নেটিজেনদের উদ্যোগে ৯ কোটির জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন পেল ১৬ মাসের ছোট্ট অস্মিকা দাস। স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (SMA) বিরল জিনঘটিত রোগে আক্রান্ত অস্মিকা। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ কোটি টাকা দামের একটি ইঞ্জেকশন। অবশেষে সেই ইঞ্জেকশন পেল রানাঘাটের শুভঙ্কর দাসের ছোট্ট মেয়ে অস্মিকা। প্রথম কিস্তিতে ৯ কোটি টাকা দিয়ে মিলল সেই বিরল ইঞ্জেশন। 

অস্মিকার বাবা বেসরকারি এক সংস্থায় কর্মরত। মেয়ের জীবন বাঁচাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রাউড ফান্ডিংয়ের এই উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা জানান নেটিজেনদের। তিনি বলেন, "আমার মেয়ের প্রতি ভালোবাসার টানে সমাজের সব স্তরের মানুষ এগিয়ে এসে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। আগে, এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে এই রোগ নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই ক্রাউড ফান্ডিং করতে সক্ষম হই। আমি চাই আমার মেয়ে বড় হয়ে মানুষকে বাঁচাক। মানবতার জন্য লড়াই করুক।"

অস্মিকার টাইপ ১ এসএমএ আছে, যা প্রাথমিকভাবে ধরা পড়ে কিন্তু দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অস্মিকার দ্বিতীয় জন্মদিনের আগে ইঞ্জেকশনটি দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো তার ১৭ মাস বয়সেই দেওয়া হল এই বিরল ইঞ্জেকশন।

বুধবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সংযুক্তা দে-র তত্ত্বাবধানে, সফল ক্রাউডফান্ডিং ক্যাম্পেইনের জন্য ধন্যবাদ। অস্মিকাকে ১৬ কোটি টাকার জোলজেনসমা ইঞ্জেজেকশন দেওয়া হয়। ডাঃ সংযুক্তা দে-র মতে, "যদি বাবা-মায়ের জিনগত সমস্যা থাকে, তাহলে শিশুর শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে SMA প্রোটিন তৈরি করে না, যার ফলে পেশী এবং স্নায়ুর অবনতি ঘটে।"

তবে, অস্মিকার মতোই বাংলার একই রোগে আক্রান্ত সোনারপুরের হৃদিকা ও আরও একজন। হৃদিকাও এসএমএতে ভুগছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন তাঁর মা হেমন্তী দাস। তিনি বলেন, 'আমাদের মতো পরিবারের পক্ষে ৯ কোটি টাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। আমি সরকার এবং জনগণের কাছে আবেদন করছি যে তারা যেন অস্মিকার মতো আমার মেয়ের পাশেও দাঁড়ান।'

Advertisement

সচেতনতামূলক কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে ডঃ দে বলেন, 'সকলকে এত ব্যয়বহুল ইঞ্জেকশন দেওয়া সম্ভব নয়। আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি যে এই ধরণের জিনগত সমস্যাযুক্ত অভিভাবকদের সনাক্ত করতে। থ্যালাসেমিয়ার মতো রোগ কমাতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু করা হোক।'

Read more!
Advertisement
Advertisement