Advertisement

মিলল না পিতা-পুত্রের অঙ্ক! নদিয়ায় হার TMC-র শঙ্কর-শুভঙ্করের

বলা যেতে পারে, শঙ্কর সিংকে হারিয়েছেন তাঁরই এক সময়ের 'রাজনৈতিক শিষ্য' পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। আবার ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন শঙ্কর সিং। এ যেন মধুর প্রতিশোধ।

শঙ্কর সিং এবং তাঁর ছেলে শুভঙ্কর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 05 May 2021,
  • अपडेटेड 8:06 PM IST
  • বাবা এবং ছেলে দু'জনেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন
  • একই দলের হয়ে, একই জেলা থেকে
  • কিন্তু শেষ হাসি হাসতে পারলেন না তাঁরা

বাবা এবং ছেলে দু'জনেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। একই দলের হয়ে, একই জেলা থেকে। কিন্তু শেষ হাসি হাসতে পারলেন না তাঁরা। দুজনেই হেরে গিয়েছেন একই দলেই বিরুদ্ধে।

বাবা বাংলার রাজনীতির জগত বেশ পরিচিত নাম। তিনি নদিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শঙ্কর সিং। আর ছেলে শুভঙ্কর। ডাকনাম যিশু।

বলা যেতে পারে, শঙ্কর সিংকে হারিয়েছেন তাঁরই এক সময়ের 'রাজনৈতিক শিষ্য' পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। আবার ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন শঙ্কর সিং। এ যেন মধুর প্রতিশোধ।

পার্থবাবু দল পাল্টে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। আগে ছিলেন তৃণমূলে। আর শঙ্করও দল বদলেছেন। তিনি ছিলেন কংগ্রেসে। পরে নাম লেখান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসে।

শঙ্কর সিংয়ের ছেলে শুভঙ্কর এই প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে তাঁর অভিজ্ঞতা ভাল হল না বলা যেতে পারে। প্রথমবার ভোটে দাড়িয়ে তিনি হেরে গিয়েছেন।

এবার তৃণমূলে একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে ভোটর টিকিট দিয়েছিল। এমনই একটি উদাহরণ এটি। শঙ্কর সিং লড়েছেন রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম আসন থেকে। তিনি সেখানকারই বিধায়ক। তবে ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হয়ে তিনি জিতেছিলেন। পরে যোগদান তৃণমূলে।

তাঁর ছেলে শুভঙ্করকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। তাঁর ডাকনাম জিশু। তিনি চাকদা কেন্দ্র থেকে। চাকদার বিদায়ী বিধায়ক রত্না কর ঘোষকে টিকিট দেওয়া হয়নি। তিনি রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্প দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে, বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং তার ছেলে শুভ্রাংশু রায়। বাবাকে বাংলার রাজনীতির 'চাণক্য' বলা হয়। তিনি আগে ছিলেন তৃণমূলে। এখন যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।

এইবার এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এবং সাফল্য পেয়েছেন। প্রথমবারে তিনি সফল হননি তিনি। দুই দশক আগে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার জগদ্দল থেকে ভোটে লড়েছিলেন।

Advertisement

তবে তিনি তখন জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। তবে এবার নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তরে অবশ্য 'মুকুল' ফুটেছে। তিনি জয়ী হয়েছেন। হারিয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে।

তবে হেরে গিয়েছেন তাঁর বিদায়ী বিধায়ক পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তিনি ছিলেন বীজপুরের বিধায়ক দীর্ঘদিন। এবারও নিজের কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি ওই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন।

তবে এবারের ভোট তাঁকে হতাশ করেছে। তিনি হেরে গিয়েছেন। তৃণমূলের সুবোধ অধিকারী তাঁকে হারিয়ে দিয়েছেন।

এবার দেখে নেওয়া যাক একুশের ভোটে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ব্যবধানে কোন কোন প্রার্থী জয়ী হলেন। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট বলছে, সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন সুজাপুরের তৃণমূলের প্রার্থী। তিনি ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১৬৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন।

তিনি হলেন সুজাপুরের তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ আবদুল গনি। তিনি হারিয়েছেন কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরীকে। ইশা খান চৌধুরী ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ওই কেন্দ্রের প্রার্থী। 

আর সর্বনিম্ন ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি ৫৭ ভোটের ব্যবধানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহকে হারিয়েছেন। উদয়ন গুহ সেখানকার বিধায়ক। ছিলেন ২০১৬ সালে তিনি ২১ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement