Advertisement

দলের টিকিট না মেলায় নির্দল প্রার্থী, জামানত জব্দ মনিরুল-মইনের!

তবে লাভের লাভ কিছু হল না। বরং মুখ থুবড়ে পড়েছেন তাঁরা। জয়ী হওয়া তো পরের ব্যাপার, দ্বিতীয় বা তৃতীয়ও হতে পারেননি। জামানত জব্দ হয়ে গিয়েছে।

মইনুদ্দিন শামস এবং মনিরুল ইসলামমইনুদ্দিন শামস এবং মনিরুল ইসলাম
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 05 May 2021,
  • अपडेटेड 7:19 PM IST
  • দলের টিকিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন নির্দল প্রার্থী হয়ে
  • তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি
  • বরং বলা চলে মুখ পুড়েছে

দলের টিকিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন নির্দল প্রার্থী হয়ে। তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। বরং বলা চলে মুখ পুড়েছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ওই দুই প্রার্থীর।

শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল বিজেপি বিধানসভা ভোটে টিকিট দেয়নি এমন অনেক নেতাই আছেন। তবে টিকিট না পেয়ে বেশিরভাগই দলের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখেছেন। কিন্তু তৃণমূল এবং বিজিপির দুই বিদায়ী বিধায়ক নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। 

তবে লাভের লাভ কিছু হল না। বরং মুখ থুবড়ে পড়েছেন তাঁরা। জয়ী হওয়া তো পরের ব্যাপার, দ্বিতীয় বা তৃতীয়ও হতে পারেননি। জামানত জব্দ হয়ে গিয়েছে। 

আরও পড়ুন

অথচ তাঁরা যে কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন সেই কেন্দ্র থেকেই লড়েছেন। কিছু শোচনায় ফল হয়েছে। তাঁরা হলেন বিজেপির মনিরুল ইসলাম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মইনুদ্দিন শামস।

উল্লেখ্য তাঁরা দু'জনই দল পরিবর্তন করেছেন। মনিরুল ইসলাম আগে ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকে। পরে তিনি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এবং সবশেষে তিনি বিজেপিতে নাম লেখান। অন্যদিকে, মইনুদ্দিন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কলিমুদ্দিন শামসের পুত্র।

তিনি দীর্ঘদিন পর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে। পরে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তিনি নলহাটি থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়ান এবং জেতেন।

তবে এবার তাঁদের সংশ্লিষ্ট দল তাঁদের প্রার্থী করেনি। আর সেই ক্ষোভ থেকে তাঁরা দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। কিন্তু তাঁরা মোটেও কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি।

মইনুদ্দিন পেয়েছেন ১,৮৩২টি ভোট। শতাংশের বিচারে ০.৮৮। ওই কেন্দ্রে নোটায় পড়েছে তার থেকে বেশি ভোট। সেখানে ১,৯০০ জন ভোটের বেছে নিয়েছেন নোটাকে। শতাংশের নিরিখে ০.৯১।

আর লাভপুরের মনিরুলেরও একই দশা। তিনি নোটার থেকে কম ভোট পেয়েছেন। ওই কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক ১,৯৯২টি ভোট পেয়েছেন। আর নোটায় পড়েছে ৩,০৫৭টি ভোট।

এদিকে, ভোটের ফল প্রকাশের পরই রাজ্যে একের পর এক জায়গায় গোলমাল হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় অশান্তি হচ্ছে। শাসক থেকে বিরোধী- বাদ যাচ্ছে না কেউই। রাজনৈতিক গোলমালের জেরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলের নেতারাও। তারা গোলমলের আশঙ্কা করেছিলেন। দেখা যাচ্ছে, তাঁদের আশঙ্কা সত্যি হয়েছে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement