বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে তলব করেছে ইডি। তাঁকে আজ, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে কলকাতার ইডি অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে। সচিবকে ২০১২-২০১৪ সালের শিক্ষকদের যোগ্যতা পরীক্ষার প্যানেল সম্পর্কিত সমস্ত নথিও আনতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, আজ পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি যাবেন ইডি দফতরে। সচিবের পদ এই মুহূর্তে ফাঁকা। তাঁর পরিবর্তে একজন আধিকারিক যাবেন।
কুন্তলের পর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, তারপর পরিচিত প্রোমোটার অয়ন শীলকে নিয়ে তোলপাড় চলছে। একের পর এক অভিযুক্তর নাম উঠে আসছে নিয়োগ দুর্নীতিতে। নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়নের যোগ কতটা, খতিয়ে দেখছেন ইডি-র তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন-প্রাইভেট হাসপাতালে রোগীর ভর্তির আগে ৫০ হাজার টাকার বেশি নয়, রেট বেঁধে দিচ্ছে রাজ্য
প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করে দেওয়ার নামে অয়ন ৩৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন বলে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কলকাতার বাসিন্দা, জনৈকা সোমা মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পুলিশের খাতায় অয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল, তারও আগে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
এলাকাসূত্রে খবর, মাঝবয়সি অয়ন প্রথমে কম্পিউটার সারাতেন। বছর তিনেক ব্লক অফিসে করণিকের কাজ করেন। তার পরে প্রোমোটিং ব্যবসায় আসেন। প্রতিপত্তি বাড়ে। থাকতেন কলকাতায়। চুঁচুড়ায় আসতেন কম। টলিউডেও পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। অভিযোগ, ২০০২-০৩ সালে অয়নের বাড়ির সামনে ব্যাগে করে টাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ‘কালীঘাটের কাকু’ হিসেবে পরিচিত সুজয় ভদ্রকে সোমবার ফের তলব করেছিল সিবিআই। তিনি নিজে হাজির হননি, তবে আইনজীবী মারফত নিজের, স্ত্রীর এবং মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি পাঠিয়ে দিয়েছেন ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কাছে।