
স্বামী মারা গিয়েছেন অনেকদিন। সম্বল বলতে ছিল স্কুল শিক্ষিকার চাকরির পেনশনটুকু। সেই পেনশনের টাকা জমিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ টাকা দান করলেন এক অশীতিপর বৃদ্ধা।
উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা দেখেছেন টেলিভিশনে। দেখেছেন মানুষকে ভেসে যেতে,ঘরবাড়ি ছাড়া হতে,দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে দৌড়ে যেতে। যেমন করে তিনি দাঁড়াতেন বাংলাদেশে (পূর্ব পাকিস্থানে) থাকার সময়। যেখানে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। পরাধীন ভারতে জন্ম। এদেশে এসে বাঁশবেড়িয়ায় বসবাস। স্থানীয় বাসুদেবপুরে প্রাথমিক স্কুলে ২৩ বছর চাকরি। তারপর অবসর। স্বামী নেই, নিঃসন্তান বৃদ্ধা একাই থাকেন। পেনশনের টাকা থেকে নিজের খরচ বাঁচিয়ে এক লক্ষ টাকা তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।
বৃদ্ধা বলেন, 'আমি কোনও রাজনীতি বুঝি না। যারা মানুষের কাজ করে তাদের কথা বলি। দেশ ও দশের কাজই আসল কাজ। এতক্ষণ যাঁর কথা শুনলেন সেই অবসরপ্রাপ্ত অশীতিপর শিক্ষিকার নাম প্রীতিকনা মজুমদার।'
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেন,বয়স হয়েছে কানে কম শোনেন, টিভিতে উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় দেখেছেন প্রীতিকনা মজুমদার। তাঁর মন কেঁদেছে দুর্গতদের জন্য। তাঁদের সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল এক লক্ষ টাকা দান করার সিদ্ধান্ত নেন।