আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তে 'খুশি নয়' ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফোরাম। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে সিবিআই তদন্তে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানালেন আরজি করে প্রতিবাদ-আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ওই সংগঠনের সদস্যরা। পাশাপাশি, আরজি করকাণ্ডের ৯০ দিনের মাথায় আগামী ৯ নভেম্বর একগুচ্ছ প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
ফোরামের তরফে জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার এদিন সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, 'প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ বাকি ধৃতদের ভূমিকা কি খতিয়ে দেখা হয়েছে? কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, আমরা জানতে চাই।' সিবিআইয়ের চার্জশিটে কেন বাকি অভিযুক্তদের নাম নেই, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। ওই চার্জশিট 'দুর্বল' বলেও উল্লেখ করেছেন দেবাশিস। তিনি এ-ও বলেন, 'আমরা আশা করব, সিবিআই কোনও প্রভাবশালীর দ্বারা প্রভাবিত হবে না।'
৯ নভেম্বরে একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কলেজ স্কোয়ার থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মিছিল করা হবে। 'দ্রোহের গ্যালারি'-র মতো কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
অন্য দিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের নিশানা করেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, 'কোনও প্রমাণ দিতে না পেরে ওরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। সিপিএমের হাতে ধরা পড়ে ওরা সবাই ফিনিশ।'
আরজি করকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে শামিল জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রথমে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন তাঁরা। পরে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে আমরণ অনশনে বসেছিলেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর নিহত চিকিৎসকের বাবা-মায়ের আর্জি মেনে তাঁরা অনশন প্রত্যাহার করেন। তবে প্রতিবাদ আন্দোলন জারি রয়েছে। বুধবার সিবিআই দফতর অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। আরজি করের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে তৈরি হয়েছে অভয়া মঞ্চ। বুধবার এই মঞ্চের তরফে সিবিআই দফতরে অভিযান চালানো হয়। ৪ নভেম্বর করা হয়েছে 'দ্রোহের আলো জ্বালো' কর্মসূচি। ৭ নভেম্বর রয়েছে 'জনতার চার্জশিট'।