Advertisement

RG Kar Incident: 'কলকাতা পুলিশ ৫ দিনে যা পারল CBI ৫ মাসে পারল না', মন্তব্য আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের

আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ খুনের মামলায় সাজা ঘোষণার দিন জানিয়েছে শিয়ালদা আদালত। আগামী ১৮ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটের সময় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা হবে। এদিন নির্যাতিতার বাবা-মা জানান, "কলকাতা পুলিশ ৫ দিনে যা পারল সিবিআই ৫ মাসে তা পারল না।" তাঁদের আরও বক্তব্য,  "একা ওর পক্ষে আমার মেয়েকে মেরে ফেলা সম্ভব নয়। একটা হাসপাতালের জনবহুল হাসপাতাল!"

আরজি কর হাসপাতালআরজি কর হাসপাতাল
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 09 Jan 2025,
  • अपडेटेड 8:10 PM IST

আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ খুনের মামলায় সাজা ঘোষণার দিন জানিয়েছে শিয়ালদা আদালত। আগামী ১৮ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটের সময় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা হবে। এদিন নির্যাতিতার বাবা-মা জানান, "কলকাতা পুলিশ ৫ দিনে যা পারল সিবিআই ৫ মাসে তা পারল না।" তাঁদের আরও বক্তব্য,  "একা ওর পক্ষে আমার মেয়েকে মেরে ফেলা সম্ভব নয়। একটা হাসপাতালের জনবহুল হাসপাতাল!"

নির্যাতিতার বাবা বলেন, "এখন আমরা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছি না। আমরা প্রশ্নগুলো আদালতের সামনে রেখেছি। সেই প্রশ্নগুলো প্রকাশ্যে বলা যাবে না। কলকাতা পুলিশের ৫ দিনের তদন্তের ফল আজকে পাওয়া গেল। পরবর্তীতে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট আসবে। তার ফলও পাওয়া যাবে। কলকাতা পুলিশ যেটা ৫ দিনে করল সেটা ৫ মাসে করতে পারছে না। ২ জনকে তো ছেড়েই দিল। আমরা সিবিআই চাইনি। হাইকোর্ট যা ভালো মনে করবে, তাই করবে।"

এও বলেন, "ওদিন যারা মেয়ের সঙ্গে ছিল আমাদের তাদের ওপর সন্দেহ হচ্ছে। কেউ একজন বাইরের এসে গেলে হাসপাতালের কেউ জানতে পারল না এটা আমি মনে করি না। আমি মনে করি হাসপাতালের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তারা সবাই সামনে আসবে, প্রকৃত তথ্য সামনে আসবে। যখন সবাই শাস্তি পাবে। তখন আমার মেয়ের আত্মা ও আমার মন শান্তি পাবে।"

আরজি কর ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত ১১ নভেম্বর। ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার শিয়ালদা ফার্স্ট অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ (ফার্স্ট এডিজে) অনিবার্ণ দাসের এজলাসে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পরের দিনই কলকাতা পুলিশ অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল। 

তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় বাংলা। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রতিবাদে উত্তাল হয় দেশ থেকে বিদেশ। পরে এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। সুপ্রিম কোর্টেও ওঠে মামলা। তবে আর্থিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ধর্ষণ- খুনের ঘটনায় জামিন পেয়ে যান আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। গ্রেফতারের ৯০ দিন পরেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। সে কারণেই সন্দীপ-অভিজিৎকে জামিন দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। তবে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় জেলেই রয়েছেন সন্দীপ।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement