বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট থেকে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের কর্মসূচি তুললেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি, ঘটনায় পুলিশের ব্যর্থতা ছিল স্বীকার করে নেন কমিশনার বিনীত গোয়েল। কমিশনার-চিকিৎসকদের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক চলে। তাঁর হাতে পদত্যাগের চিঠি তুলে দেন চিকিৎসকেরা। ইস্তফা নিয়ে কমিশনার বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি তাঁকে সরাতে চায় তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, "আমরা ডেপুটেশন কপি দিই, তিনি অ্যাকসেপ্ট করেন। তিনি স্বীকার করেন সেই রাতের ঘটনা পুলিশের ফেইলিওর ছিল। কমিশনার জানান, আমাদের দাবি মেনে ওনাদের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের যদি মনে হয় পদত্যাগ করানোর তিনি তা স্বীকার করবেন।" এদিন বিনীত গোয়েলের হাতে প্রতীকী শিরদাঁড়া তুলে দেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসক-অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ বলেন, "৯, ১৪ ও ১২ তারিখ যা যা ঘটেছে তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। তাই আমাদের আন্দোলন চলবে। আগামিকাল রাত ৯টা থেকে বাড়ির আলো নিভিয়ে মোমবাতি নিয়ে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করতে অনুরোধ করছি।"
আরজি কর কাণ্ডে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার থেকে ধর্নায় অনড় ছিল জুনিয়র ডাক্তাররা। লালবাজার অভিযানের পর লালবাজার থেকে আধ কিলোমিটার দূরে রাস্তায় বসে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। সোমবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনার পরিস্থিতি হয়েছিল ওই এলাকায়। মূলত তিন দফা দাবিতে আন্দোলন জুনিয়র ডাক্তারদের। সোমবার পুলিশের তরফে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সমাধান সূত্র বেরোয়নি। মঙ্গলবার আবারও একদফা আলোচনা হয় দু'পক্ষের। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের দাবিতেই অনড় ছিল। অবশেষে স্টেথোস্কোপের কাছে হার মানল উর্দি।