শনিবার দুপুর আড়াইটে। শিয়ালদা আদালতের বাইরে তখন ভিড়ে ঠাসা। একদিকে যেমন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ক্যামেরাম্যানদের ভিড়, তেমনই পুলিশে-পুলিশে ছয়লাপ। 'ন্যায়বিচারে'র আশায় জড়ো হন প্রতিবাদীদের অনেকেও। সঞ্জয় রায়কে নিয়ে আসা হল এজলাসে। রায় পড়ে শোনাতে শুরু করলেন বিচারক অনির্বাণ দাস।
আরজি কর খুন এবং ধর্ষণের মামলায় মূল এবং 'একমাত্র' অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে দোষী সব্যস্ত করল শিয়ালদা আদালত।ভারতীয় ন্যয় সংহিতার ৩ ধারায় তাকে দোষী সব্যস্ত করা হয়েছে। ৬৪, ৬৬ ও ১০৩ নম্বর ধারায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সব্যস্ত করে আদালত।
আগামী সোমবার শাস্তি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। তার আগে জেনে নেওয়া যাক, এই ৬৪, ৬৬ ও ১০৩ নম্বর ধারায় কী শাস্তির বিধান রয়েছে,
৬৪ নম্বর ধারা- ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, সর্বনিম্ন শাস্তি - ১০ বছরের কারাদণ্ড।
৬৬ নম্বর ধারা - ধর্ষণের সময় মৃত্যু ঘটানোর শাস্তি - সর্বনিম্ন ২০ বছর কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড।
১০৩ নম্বর ধারা - খুনের শাস্তি - মৃত্যু বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
এদিন রায় ঘোষণার পর সঞ্জয় রায়ের কোনও বক্তব্য আছে কিনা জানতে চান বিচারক। সঞ্জয় রায় তখন জানতে চান, 'আমি সবসময় আমার গলায় রুদ্রাক্ষের চেন পরি। আমি অপরাধ করলে ঘটনাস্থলেই আমার গলার চেন ছিঁড়ে যেত। আমি এই অপরাধ করতে পারি না। আমি এটা করিনি, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। একজন আইপিএস-সহ আমাকে যারা ফাঁসিয়ে দিয়েছিল তাদের কেন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে?'
এর উত্তরে বিচারক বলেন, 'সোমবার আপনার বক্তব্য শোনা হবে। এখন আপনাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হচ্ছে। সোমবার আপনার শাস্তি ঘোষণা করা হবে। দুপুর সাড়ে ১২টায় দোষীর বক্তব্য শোনা হবে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে শাস্তি ঘোষণা করা হবে।'