আরজি করকাণ্ডে অবশেষে শনিবার থেকে কাজে ফিরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে আংশিক কর্মবিরতি চলবে। আজ থেকে জরুরি পরিষেবায় যোগ দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পাশাপাশি, আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
শুক্রবার ১১ দিনের মাথায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না তোলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দুপুরে স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতর পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। শুক্রবার কলকাতায় মশাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তায় মশাল হাতে হাঁটেন বহু সাধারণ মানুষ। যোগ দেন খ্যাতনামীরাও। মশাল মিছিলে যোগ দেন নির্যাতিতার পরিবারও।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মবিরতি চালাচ্ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পাশাপাশি, পথে নেমে প্রতিবাদে শামিল হন তাঁরা। ৫ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেন তাঁরা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণের দাবিতে লালবাজার অভিযানও করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে দীর্ঘ বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দীর্ঘ সেই বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মতো কলকাতার পুলিশ কমিশনার, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানো হয়েছে। তবে আরও কিছু দাবি রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। সেই দাবি পূরণ করতে আলোচনায় বসার জন্য বুধবার রাজ্যকে ফের ইমেল পাঠান তাঁরা। এরপরে নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দীর্ঘ সেই বৈঠকে মিনিটসে সই করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয় বলে অভিযোগ। জুনিয়র ডাক্তারদের বাকি দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ এবং নিরাপত্তার বিষয়টি। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁদের সব দাবিগুলিকে ফের খসড়া আকারে বৃহস্পতিবার ইমেল মারফত পাঠাতে বলা হয়। তারপরে সরকারি পদক্ষেপের পরই ধর্না তোলার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। আংশিক কর্মবিরতি তোলার কথাও জানানো হয়।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি। তার মধ্যে সরকারের তরফে কোনও আশানুরূপ পদক্ষেপ না করা হলে আন্দোলন আরও জোরদার করার ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।