ঝাড়গ্রামে আবারও দেখা মিলল বাঘের, যা নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এলাকাবাসীর মধ্যে। রবিবার সকালে বেলপাহাড়ি থানার বাঁশপাহাড়ি অঞ্চলের মানিয়াডি জঙ্গলে বাঘ দেখতে পান স্থানীয় যুবকরা। তাঁরা জঙ্গলে লাল পিঁপড়ে সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ তাঁদের পাশ দিয়ে বাঘটি চলে গেলে আতঙ্কিত হয়ে যুবকরা গ্রামে ফিরে আসেন। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
বাঁশপাহাড়ি রেঞ্জের বনদফতরের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নজরদারি শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাঘটি ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় ঢুকেছে।
বাঘের গতিবিধি
ঝাড়খণ্ড বনবিভাগের সূত্র জানাচ্ছে, বাঘটি সম্প্রতি দলমা কোর এলাকা থেকে বাফার জোনে প্রবেশ করেছে। শুক্রবার রাতে চিমটি ও পাগদায় তার পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। সেখান থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার হেঁটে বাঘটি বাংলার বান্দোয়ান ১ বনাঞ্চলে প্রবেশ করেছে।
ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ায় নজরদারি
বাঘটির গতিবিধি নজরদারি করতে ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়া বনাঞ্চলে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের ডিএফও পূরবী মাহাতো ও পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ এই অঞ্চলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
ঝাড়খণ্ডের প্রেক্ষাপট
গত ৩১ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খারসওয়া বনাঞ্চলে গরুর উপর বাঘের হামলা এবং বাছুরের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। টানা ১২ দিন ধরে বাঘটি ঝাড়খণ্ড ও বাংলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে ঘুরে বেড়িয়েছে।
বনদফতরের উদ্যোগ
বাঘটিকে শনাক্ত করতে এবং তার অবস্থান নির্ধারণে বিভিন্ন এলাকায় ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। দলমা রেঞ্জের চিমটি, পাগদা, নাইলম, গোবরঘুসি ও ঝুঝকায় ১২টি ট্র্যাপ ক্যামেরা ইতিমধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে।