Advertisement

Russia Dead Hand: 'ডেড হ্যান্ড', এই পরমাণু অস্ত্রটি পৃথিবী ধ্বংস করতে পারে, কোন দেশের কাছে আছে?

বিশ্ব রাজনীতিতে যখনই পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা ওঠে, তখনই ফিরে আসে একটি ভয়ঙ্কর শব্দ— ‘ডেড হ্যান্ড’। এটি এমন এক স্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থা, যার ক্ষমতা একাই বিশ্বের অধিকাংশ শহর ধ্বংস করে দেওয়ার। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এবং তার আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ফের সামনে এসেছে এই 'ডেড হ্যান্ড'-এর প্রসঙ্গ।

পরমানু বিস্ফোরণ।-প্রতীকী ছবিপরমানু বিস্ফোরণ।-প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 12 May 2025,
  • अपडेटेड 12:33 PM IST
  • বিশ্ব রাজনীতিতে যখনই পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা ওঠে, তখনই ফিরে আসে একটি ভয়ঙ্কর শব্দ— ‘ডেড হ্যান্ড’।
  • এটি এমন এক স্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থা, যার ক্ষমতা একাই বিশ্বের অধিকাংশ শহর ধ্বংস করে দেওয়ার।

বিশ্ব রাজনীতিতে যখনই পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা ওঠে, তখনই ফিরে আসে একটি ভয়ঙ্কর শব্দ— ‘ডেড হ্যান্ড’। এটি এমন এক স্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থা, যার ক্ষমতা একাই বিশ্বের অধিকাংশ শহর ধ্বংস করে দেওয়ার। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এবং তার আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ফের সামনে এসেছে এই 'ডেড হ্যান্ড'-এর প্রসঙ্গ।

কী এই ‘ডেড হ্যান্ড’?
‘ডেড হ্যান্ড’ বা ‘Perimeter’ হল সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমানে রাশিয়া) তৈরি একটি অটোমেটেড পারমাণবিক প্রতিশোধ ব্যবস্থা। শীতল যুদ্ধের সময় এই সিস্টেম তৈরি করা হয়েছিল। এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যে, যদি রাশিয়া কোনো পারমাণবিক হামলার শিকার হয় এবং শীর্ষ নেতৃত্ব পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়, তবুও এই ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়ে সমস্ত পারমাণবিক অস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে পারে।

কীভাবে কাজ করে ‘ডেড হ্যান্ড’?
‘ডেড হ্যান্ড’ মূলত একটি রেডিও-নিয়ন্ত্রিত কমান্ড সিস্টেম। এটি সেনা যোগাযোগ, ভূকম্প, বায়ুচাপ, বিকিরণ এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করে। যদি এগুলি কোনও পারমাণবিক আক্রমণের সংকেত দেয়, তবে এটি একটি বিশেষ কমান্ড রকেট উৎক্ষেপণ করে। সেই রকেট দেশের বিভিন্ন পারমাণবিক ঘাঁটিতে উৎক্ষেপণের আদেশ পাঠিয়ে দেয়, রেডিও জ্যামিং থাকলেও। ফলস্বরূপ, সমস্ত আইসিবিএম (Intercontinental Ballistic Missile) একযোগে ছোঁড়া হয়।

আরও পড়ুন

এই ব্যবস্থা কতটা ধ্বংসাত্মক?
রাশিয়ার হাতে বর্তমানে আনুমানিক ১,৬০০ মোতায়েনযোগ্য কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র এবং আরও ২,৪০০ আইসিবিএম সংযুক্ত অস্ত্র রয়েছে। এইসবই ডেড হ্যান্ড-এর নিয়ন্ত্রণে যেতে পারে একটি মাত্র সংকেত পেলে। ফলে, একবার চালু হলে রাশিয়ার ধ্বংসের মধ্যেও সারা বিশ্বে পারমাণবিক হামলা চালিয়ে যেতে পারে এই ব্যবস্থা।

কেন এই ব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল?
এই সিস্টেম তৈরি হয়েছিল ‘Mutually Assured Destruction’ মতবাদের ভিত্তিতে, অর্থাৎ— যদি এক পক্ষ আক্রমণ করে, প্রতিপক্ষও নিশ্চিতভাবে পাল্টা হামলা চালিয়ে উভয়পক্ষকেই ধ্বংস করবে। এর ফলে কেউ প্রথমে পারমাণবিক হামলা চালাতে সাহস পায় না।

আজও কি সক্রিয় এই ব্যবস্থা?
রাশিয়ার পক্ষ থেকে কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্যবস্থার অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়নি। তবে ২০১১ সালে রাশিয়ার মিসাইল ফোর্সের জেনারেল সের্গেই কারাকায়েভ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, এই ব্যবস্থা এখনো সক্রিয়। পাশাপাশি, রুশ সরকারি সংবাদমাধ্যমও বারবার ইঙ্গিত দিয়েছে যে, এই সিস্টেম এখন হাইপারসনিক মিসাইল ও আধুনিক রাডার সিস্টেম দিয়ে আপগ্রেড করা হয়েছে।

Advertisement

কেন ফের আলোচনা ডেড হ্যান্ড নিয়ে?
বর্তমানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিচ্ছেন এবং তাঁর দেশের পারমাণবিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রেখেছেন। ফলে ‘ডেড হ্যান্ড’-এর মতো ব্যবস্থাও নতুন করে বিশ্ববাসীর উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।
 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement