বাংলা ভাষায় কথা বলায় এবার ঝাড়খণ্ডে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিককে মার। ছুরি দিয়ে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। ঝাড়খণ্ডের টাটানগর স্টেশনে সন্দেশখালির ওই বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের ওপর ছুরি দিয়ে হামলা করা হয়।
ঘটনাটি ঠিক সেসময় ঘটে যখন কলকাতা হাইকোর্টে সুনালি খাতুন এবং আরও পাঁচজনের মামলার শুনানির ঘটনাটি ঘটে। এরা সকলকেই নয়াদিল্লি থেকে বাংলাদেশে 'পুশব্যাক' করা হয়েছিল। তারা জেলবন্দি রয়েছেন।
সন্দেশখালির ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম তপছেল জমাদার (২৭)। তিনি বয়রামারি এলাকার অন্যান্য যুবকদের সঙ্গে টাটানগরে গিয়েছিলেন। বাংলায় কথা বলায় তাদের উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। বাংলায় কথা বলার কারণে তাদের 'বাংলাদেশী' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ঝাড়খণ্ডে আহত পরিযায়ী শ্রমিককে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন। আহত পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী মারুফা বিবি বলেন, "আমার স্বামীকে বাংলায় কথা বলার জন্য ছুরি মারা হয়। তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। ঈশ্বরের কৃপায়, তিনি বেঁচে আছেন। তা না হলে আমাদের পরিবারের কী হত?"
সাম্প্রতিক সময়ে বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বাংলা ভাষায় কথা বলা পরিযায়ী শ্রমিকদের আক্রান্ত হওয়ার খবর। তাঁদেরকে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে পুশব্যাক করার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এরপরে রাজপথে নেমেও প্রতিবাদ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।