শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে FIR নথিভুক্ত করল পুলিশ। শেখ সিরাজের বিরুদ্ধে জমি দখল ও গ্রামবাসীদের উপর 'অত্যাচারে'র অভিযোগে ১০০টিরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত শেখ সিরাজ অবশ্য দাদার মতোই পলাতক।
শেখ সিরাজের বিরুদ্ধে সন্দেশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বেড়মজুরের বাসিন্দাদের একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেছেন।
শেখ শাহজাহানের মতোই, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধেও জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি, চাষের জমি দখলের মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
গ্রামবাসীদের কাছে 'সিরাজ ডাক্তার' নামেই বেশি পরিচিত তিনি। কেন? কারণ শেখ সিরাজ আদতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। তবে চিকিৎসার তুলনায় 'ব্যবসা' ও রাজনীতির ময়দানেই তাঁকে বেশি দেখা যেত।
প্রায় ৩ বছর ধরে বেরমজুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ছিলেন শেখ সিরাজ। শেখ সিরাজের কাঁছে জনপ্রতিনিধি হিসাবে সাহায্য চাইতে গেলেও টাকা লাগত বলে দাবি গ্রামবাসীদের একাংশের। তাছাড়া রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজের ভেড়ি, জমি দখলের কারবারই বাড়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ সিরাজের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, দলের একাংশের অসন্তোষ ও অভিযোগের পর সিরাজকে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেড়মজুর ১ ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে শেখ সিরাজের কথাতেই সমস্ত কাজ হয়। দাদা শেখ শাহজাহানের মতোই তিনিও বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, সেই প্রভাব কাজে লাগিয়েই জোর করে জমি দখলদারি, কৃষিজমিতে ভেড়ি তৈরির মতো বেআইনি কাজ করতেন সিরাজ।
এর পাশাপাশি গ্রামবাসীদের দাবি, সিরাজ এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতেও তাঁরা ভয় পান। অভিযুক্ত শেখ সিরাজ তাঁর দাদা শেখ শাহজাহানের মতোই পলাতক।