ফের বিতর্কে সন্দেশখালি। আবারও উঠল যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। এবার সন্দেশখালির বেড়মুজুর এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। এই অভিযোগে এক তৃণমূল কর্মী পুলিশের হাতে ধৃত। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, মারধর ছাড়াও POCSO আইনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
সন্দেশখালির বেড়মজুর এলাকার বছর ১৫-র এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ জমা পড়ে সন্দেশখালি থানায় ও সিবিআইয়ের পোর্টালে। শুক্রবার রাতে ওই নাবালিকা যখন ঘরের ভিতর ঘুমিয়ে ছিল সেই সময়ে এক যুবক তার ঘরের বেড়া ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং তাকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। এরপর চিৎকার চেঁচামেচিতে ওই যুবক পালিয়ে যায়। তারপর ওই নাবালিকা সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমেএক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ওই ব্যক্তি তৃণমূলের কর্মী বলে জানা যাচ্ছে।
ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি, ধামাখালিতে CBI ক্যাম্প অফিসেও অভিযোগপত্র জমা দেয় নাবালিকার পরিবার। রাতে সেই অভিযোগপত্র ই-মেল মারফত বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে পাঠিয়ে দেয় সিবিআই। এরপরই পকসো আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে আটক করা হয়।
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, রাত্রিবেলা ঘরে ঢোকে অভিযুক্ত। তারপর মেয়েটির শ্লীলতাহানি করা হয়। নির্যাতিতার দিদা বলেন, “ঘরে ঘুমোচ্ছিল। ছেলেটা ঘরের পিছন থেকে ঢোকে। তারপর আমার নাতনীর সঙ্গে শ্লীলতাহানি করে। আমার নাতনী খিমচে ছাড়িয়ে দেয়। এরপর চিৎকার করে বলে দিদা আমায় বাঁচাও। আমায় মেরে ফেলে দিল। ততক্ষণে ছেলেটা পালিয়ে গিয়েছে।” উল্লেখ্য, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আরও বেশি অভিযোগ গ্রহণের উদ্দেশ্যে সন্দেশখালিতে ক্যাম্প খুলেছে সিবিআই। সেখানেই এই অভিযোগ জমা পড়ে।