BJP-র IT সেলের প্রধান অমিত মালব্যের (Amit Malviya) বিরুদ্ধে মহিলাদের যৌন হেনস্থার গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনৈক RSS সদস্য শান্তনু সিনহা। শান্তনুকে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলার নোটিশ ধরিয়েছেন অমিত। এহেন পরিস্থিতিতে হঠাত্ U-টার্ন নিলেন শান্তনু। উল্টে তাঁর অভিযোগ,তাঁর একটি ফেসবুক পোস্টকে হাতিয়ার করে অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপ্রচার চালাচ্ছ ভারতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দল কংগ্রেস।
'শান্তনু অনেকটা ভাসমান কামানের মতো'
অন্যদিকে ২০২১ সালের নির্বাচনের পরে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কামিনী, কাঞ্চনে আসক্তির অভিযোগ তোলা ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় India Today-কে বলেন, 'শান্তনু অনেকটা ভাসমান কামানের মতো, মাঝে মাঝে বিস্ফোরণ হয়। যে কেউ যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারেন, তবে অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আমি বিশ্বাস করি না।'
কংগ্রেস অপ্রচার চালাচ্ছে: শান্তনু
শান্তনুর দাবি, 'এটা আমার কাছে খুবই দুঃখের বিষয় যে দেশের সবচেয়ে খারাপ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দল, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা বাংলায় একটি পোস্টকে হাতিয়ার করে অমিত মালব্য এবং ভারতীয় জনতা পার্টি-র বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক প্রচার চালাচ্ছে।'
শান্তনুর আরও বক্তব্য, 'পোস্টের কোনও অংশেই অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা সম্পর্কিত ফিসফাস নেই। বরং, আমি আমার আশঙ্কা প্রকাশ করেছি যে, সাম্প্রতিক নির্বাচনে এরকম হারের পরেও দলের কিছু অসাধু নেতার চক্রান্তে অমিত মালব্যকে হানি-ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা হতে পারে।'
অমিত মালব্যের নামে বদনাম ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আমার পোস্ট ছিল না: শান্তনু
শান্তনু সিনহা নিজেকে সঙ্ঘ স্বয়ং সেবক ও ABVP-র প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক হিসেবেই দাবি করেছেন। কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন। শান্তনু সিনহার কথায়, 'আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, অমিত মালব্যের নামে বদনাম ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আমার পোস্ট ছিল না। আমি শুধু হানি-ট্র্যাপে পা না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছি। এই বিষয়টি প্রথমবার তথাগত রায় আলোকপাত করেছিলেন।'
শান্তনুর আরও দাবি, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সিদ্ধার্থ নাথ সিং, প্রদীপ জোশী ও শিবপ্রসাদের মতো দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। হানি-ট্র্যাপের কারণে দলকে অতীতে বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে। সেই মামলাগুলি এখনও আদালতে চলছে।