সেজে উঠবে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) রেল স্টেশন। আর তা সাজানোর দায়িত্ব বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Viswa-Bharati University)-এর কলাভবন (Kala Bhabana)-এর। এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে রেল।
খুব শিগগিরই সে কাজ শুরু করা হবে। এ জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক দফা কথাও হয়ে গিয়েছে তাদের। রেল সূত্রে খবর, পর্যটন আর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে, এমন কিছু স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হবে। এমনই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে রেল। দেশের বেশ কয়েকটি স্টেশন সেই তালিকার মধ্যে রয়েছে। আর এর মধ্যে জায়গা পেয়েছে শান্তিনিকেতন রেল স্টেশন।
এই স্টেশন বা এলাকার গুরুত্ব নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যে রেলের তরফে এক প্রতিনিধি দল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। আৎ তাঁরা কলাভবনের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছেন। হাওড়ার ডিআরএম-এর তরফে ওই বৈঠক হয়েছিল। এবং তাদেরকে এ ব্যাপারে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে শান্তিনিকেতন রেলওয়ে স্টেশন ঢেলে সাজানো। হবে তাদের সাহায্য চাই।
এ কাজ করতে কত টাকা খরচ হতে পারে, তার হিসেব-নিকেশ করা চলছে। এই প্রকল্প কতদূর এগোলো, সে ব্যাপারে রেলমন্ত্রক খোঁজখবর নিয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। রেলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কলাভবনের কয়েকজন অধ্যাপক জানিয়েছেন, এটা খুব ভাল প্রস্তাব। কলাভবন নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে।
আরও জানা গিয়েছে, রেল ম্যুরাল বা টেরাকোটার কাজ চাইছে না। তবে কিভাবে ওই স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হবে, পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হবে, সে ব্যাপারে আলাপ আলোচনা চলছে। এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। স্থানীয় এলাকার বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠবে ওই স্টেশনে। কলকাতার বিভিন্ন স্টেশনকে ইতিমধ্যে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এর একটা লক্ষ্য, স্টেশন চত্বর যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যায়। এবং এর মাধ্যমে সামাজিক বিভিন্ন বার্তা দেওয়া হয়ে থাকে। রেল স্টেশন বিশেষ করে সিঁড়িকে বিভিন্ন রকম দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এবং এর ফলে দেখতে একেবারে বদলে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট স্টেশন।