সজল ঘোষের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। রবিবার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন, 'ওই পুজো বন্ধ হলে বাংলায় আগুন জ্বলবে।'
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো কেন্দ্র করে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা। এবছর তাদের থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’। পহেলগাঁও হামলা থেকে শুরু করে ভারতীয় সেনার অভিযানের ছবি তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপে। আর সেই পুজো নিয়েই উত্তাল রাজনীতি।
বিজেপি নেতা বলেন, 'এখানে সিঁদুর মানে মা বোনদের সম্মানের প্রতীক। সেই লড়াইয়ের বার্তাই এই থিমে ধরা হয়েছে। অথচ এখন সিঁদুর নিয়েও রাজনীতি চলছে। সজল ঘোষ বুক চিতিয়ে পুজো করুন। হাজার হাজার মানুষ আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।'
ঠিক কী অভিযোগ সজল ঘোষের?
সজল ঘোষের অভিযোগ, সাধারণ মানুষ যাতে মণ্ডপে সহজে পৌঁছতে না পারেন, সেজন্যই নানা জায়গায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। ৪০ ফুট চওড়া রাস্তায় গার্ডরেল দিয়ে পথ সঙ্কুচিত করে মাত্র ১৫ ফুট করা হয়েছে। ফলে যেখানে ৭০০ মিটার হাঁটলেই মাঠে পৌঁছনো যায়, সেখানে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার।
এর আগেই মণ্ডপে ভিড় নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা পাঠিয়েছে মুচিপাড়া থানা। মণ্ডপের ভেতর ও বাইরে পর্যাপ্ত জায়গা রাখা, লাইন্ড অ্যান্ড সাউন্ড শো বন্ধ রাখা, হকার ও বিজ্ঞাপনের গেট নিষিদ্ধ করা, সিসি ক্যামেরা বসানো থেকে শুরু করে ভলান্টিয়ার মোতায়েনের মতো নানা শর্ত দেওয়া হয়েছে।
সজল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, 'এভাবে পুলিশি জুলুম চলতে থাকলে পুজো চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।'
এর আগে চতুর্থীর দিনও তিনি দাবি করেছিলেন, ইচ্ছে করেই এমনভাবে ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে যাতে মানুষ মণ্ডপে ঢুকতে না পারেন। তবে পুলিশের পাল্টা বক্তব্য, দুর্ঘটনা এড়াতেই এই ব্যবস্থা। অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই।
অমিত শাহ নিজে এসে উদ্বোধন করেছেন এই পুজোর। তাই ‘অপারেশন সিঁদুর’ থিম নিয়ে মানুষের উচ্ছ্বাসও তুঙ্গে। কিন্তু সেই আনন্দের মাঝেই পুজো ঘিরে দানা বাঁধছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপি নেতার হুঁশিয়ারিতে এই বিতর্ক আরও উসকে উঠল বলেই মত পর্যবেক্ষকদের।