সারদা চিটফান্ড দুর্নীতি কাণ্ডে (Saradha Chit Fund Case) অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের (Debjani Mukhopadhyay) অবশেষে জেলমুক্তি। ১০ বছর পর প্যারোলে ছাড়া পাচ্ছেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গিনী দেবযানী। সারদা দুর্নীতি ফাঁস হওয়ার পরে সুদীপ্ত সেনের পর যে নামটি সবচেয়ে বেশি চর্চায় ছিল,তা হল দেবযানী মুখোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বারবারই আদালতে দাবি করেছে, দেবযানী মুখোপাধ্যায় প্রভাবশালী। যদিও তদন্তের গতিপ্রকৃতি ঠিক কী, তা স্পষ্ট নয়।
সারদা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে। তারপর ১০ বছর ধরে বিচারাধীন বন্দি দেবযানী। জানা গিয়েছে, অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার জন্য প্যারোলে ছাড়া হচ্ছে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের একদা সঙ্গিনীকে। আগামী ৫ জুন ৪ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে ছাড়া হচ্ছে তাঁকে। ওই ৪ ঘণ্টায় দেবযানী তাঁর বাড়িতে গিয়ে মাকে দেখে আসবেন।
বর্তমানে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পুলিশি বন্দোবস্ত করার জন্য লালবাজারকে চিঠি পাঠিয়েছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। ৫ জুন মাকে দেখতে যাচ্ছেন দেবযানী।
সারদা কাণ্ড ফাঁস হওয়ার পর সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন দেবযানী। ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। এই দুর্নীতির তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। দমদম সংশোধনাগার সূত্রের খবর, দেবযানীকে মায়ের সঙ্গে ফোনে ভিডিও কলে কথা বলতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এতদিন দেখা করার অনুমতি ছিল না।
দমদম সেন্ট্রাল জেলে নার্সের কাজ করেন দেবযানী। বন্দিদের ডায়েট, কোনও বন্দির চোট লাগলে দ্রুত ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া, ওষুধ দেওয়ার মতো নার্সিংয়ের কাজ করেন তিনি। একই সঙ্গে বন্দিদের ইংরেজিও পড়ান তিনি।
২০০৮ সালে সারদা সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই দ্রুত উত্থান হয় তাঁর। সারদা রিয়েলটির ডিরেক্টর হয়ে যান দেবযানী।