সরস্বতী পুজোয় মেতেছে রাজ্যবাসী। এরই মাঝে এল চাঞ্চল্যকর খবর। যার জেরে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায় বিভিন্নমহলে। যদিও বিষয়টিতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে পুলিশ। এবার সরস্বতী ঠাকুরের মূর্তি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চাপড়া থানার কলিঙ্গ এলাকার চড়ুই টিপি গ্রামে। কে বা কারা সরস্বতী ঠাকুরের মূর্তি ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, এর আগে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভাঙার অভিযোগ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়াগায় উঠেছে। তবে এবার এমন ঘটনা ঘটে গেলে পশ্চিমবঙ্গের বুকেই। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাপড়া থানার পুলিশ। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে ওই মণ্ডপের পাশেই আরও একটি মণ্ডপ তৈরি করে পুজো সম্পন্ন করা হয়। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে কিছু লোকজন এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলেও পুলিশ তা প্রতিহত করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে প্রতিমা আনার পর হয়ত কেউ মদ্যপ অবস্থায় তা ভেঙে দেয়। সোমবার সকালে জানাজানি হতেই গ্রামের লোকজনের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ক্ষুব্ধ পুজোর আয়োজকরা।
এদিকে এই ঘটনায় কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার তরফে জানান হয়েছে, নদিয়া জেলার চাপড়ায় দেবী সরস্বতীর একটি মূর্তি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় কোনও কোনওমহল থেকে ভুল তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। নতুন মূর্তি বসানোর পর শান্তিপূর্ণভাবে পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তের অধীনে এবং পরিস্থিতি আপাতত শান্তিপূর্ণ। গুজব ছড়ানোর এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য যারা চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে বিজেপি পরিকল্পনা মাফিক এই কাজ করেছে।
প্রসঙ্গত, যোগেশচন্দ্র ল কলেজে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাতে তোলপাড় বাংলা।শুক্রবার পুলিশি নিরাপত্তায় কলেজে সরস্বতী পুজো করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। তাদের অভিযোগ ছিল, তাঁরা যেখানে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেন, সেই জায়গা বহিরাগতরা দখল করে নিয়েছে। কলেজে আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর পুলিশি নিরাপত্তায় হয় সরস্বতী পুজো।