দুর্যোগের কবলে দার্জিলিং। ধস নেমে বিপর্যস্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। তার মধ্যেই মিরিকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ব্রিজ ভেঙে পড়ে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দার্জিলিং জেলার এই দুধিয়া ব্রিজটি মিরিক এবং সংলগ্ন এলাকাকে শিলিগুড়ি ও কার্শিয়ঙের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এই ব্রিজ ভেঙে পড়ায় মিরিকের সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ধসের জেরে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের প্রায় সমস্ত রাস্তাও বন্ধ।
যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই স্থানীয় বাসিন্দা বলে খবর। এর মধ্যে ২ জন সরসলি, ২ জন মিরিক বস্তি, ৪ জন শারগাঁও মেচি এবং ১ জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে মিরিক লেক থেকে।
দুর্যোগের কবলে গোটা উত্তরবঙ্গই। ধস নেমে ক্ষতিগ্রস্ত দার্জিলিং জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কেও যান চলাচল ব্যাহত। ধসে নেমেছে জায়গায় জায়গায়। জলমগ্ন একাধিক রাস্তা। হুসেইন খোলায় ধস নেমেছে। বড় গাছ পড়ে দার্জিলিংগামী দিলারামের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কার্শিয়ং যেতে গেলে পাঙ্খাবাড়ি এবং ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের রাস্তা ধরতে হচ্ছে। কার্শিয়ং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য ডাউহিল হয়ে যেতে হচ্ছে। পুজোর পর দার্জিলিং, কার্শিয়ং বেড়াতে গিয়ে কার্যত ফেঁসে গিয়েছে বহু পর্যটক। ট্যুরিস্ট হটস্পট হিসেবে পরিচিত মিরিক, কার্শিয়ঙের মতো এলাকাগুলি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে মিরিক লেক, রক গার্ডেন, টাইহার হিলের মতো জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটে।
দুর্যোগের পূর্বাভাস ছিলই। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং কালিম্পঙের জন্য। আলিপুরদুয়ারে জারি রেড অ্যালার্ট। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপ পশ্চিম ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে গেলেও এর প্রভাবেই উত্তরবঙ্গে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। সোমবার অর্থাৎ লক্ষ্মীপুজোর দিন পর্যন্ত দুর্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও সতর্কবার্তা দিয়েছে আলিপুর।