আইএসএফে ভাঙন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে ISF ছেড়ে প্রায় ৫০০ জন নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দিলেন। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ।
পোলেরহাট ২ অঞ্চল থেকে প্রায় ৫০০ জন আইএসএফ নেতা-কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। বুধবার সন্ধ্যায় পাকাপোলের একটি অনুষ্ঠানে আইএসএফ অঞ্চল সভাপতি আব্বাস মোল্লা-সহ প্রায় ৫০০ জন কর্মী-সমর্থক যোগ দেন তৃণমূলে। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার হাত ধরেই যোগদান করেন ওই আইএসএফ কর্মীরা। এই যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা খাইরুল ইসলাম, মহাসিন গাজী-সহ অন্যরা।
কেউ ভয় দেখিয়ে আনেননি, তৃণমূলের উন্নয়নের প্রতি আস্থা রেখে যোগ দিয়েছি বলে জানিয়েছেন আব্বাস মোল্লা-সহ অনান্য নেতা-কর্মীরা। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন যে, যাঁরা আজ তৃণমূলে যোগ দিলেন, তাঁদের সবাইকে নিয়ে পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। তৃণমূল শক্তিশালী হবে।
এই প্রসঙ্গে ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, যাঁরা TMC-তে যোগদান করেছেন, তাঁদের ধমকে চমকে যোগদান করিয়েছে। তবে ভোটের সময় ভোটটা ISF-এই পড়বে।
লোকসভা ভোটের পর ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলের যোগদান করছেন আইএসএফ সমর্থকরা। সে বিষয়ে কদিন আগেই আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি জানিয়েছিলেন যে, ভয় দেখিয়ে তাঁদেরকে দলে টানা হচ্ছে। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন শওকত মোল্লা জানান, তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয় পাবে ভাঙড়ে। কারা কী পাগলের মতো বলছেন তাতে কিছু যায় আসে না।
সংবাদদাতা- প্রসেনজিৎ সাহা।