Advertisement

Sheikh Hasina: 'ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে আমেরিকা-পাকিস্তান', হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে মত বিশেষজ্ঞদের

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড শুনিয়েছে দেশটির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। ভারতে নির্বাসিত অবস্থায় থাকা আওয়ামী লীগ নেত্রীকে পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দু’টিতে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি অভিযোগগুলোতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ফাইল ছবিফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 17 Nov 2025,
  • अपडेटेड 6:40 PM IST
  • বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড শুনিয়েছে দেশটির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)।
  • ভারতে নির্বাসিত অবস্থায় থাকা আওয়ামী লীগ নেত্রীকে পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দু’টিতে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি অভিযোগগুলোতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড শুনিয়েছে দেশটির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। ভারতে নির্বাসিত অবস্থায় থাকা আওয়ামী লীগ নেত্রীকে পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দু’টিতে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি অভিযোগগুলোতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণা হতেই আন্তর্জাতিক মহল থেকে শুরু করে কূটনৈতিক ও কৌশলগত বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই সিদ্ধান্তকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' ও 'অবৈধ' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

আইসিটির পর্যবেক্ষণ, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশজুড়ে ছাত্র বিক্ষোভ দমনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালতের দাবি, ড্রোন ও হেলিকপ্টার থেকে আক্রমণে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত এবং ২৪,০০০ জন আহত হয়। রায়ে শেখ হাসিনাকে 'হত্যাকাণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী' হিসেবে বর্ণনা করে কঠোর শাস্তি ঘোষণা করে বেঞ্চ।

আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ড. ব্রহ্মা চেলানি ট্রাইব্যুনালকে সরাসরি 'ক্যাঙ্গারু আদালত' হিসেবে উল্লেখ করে মন্তব্য করেন, 'এই রায় কোনও বিচারিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অস্ত্র। মধ্যবর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকরা হাসিনাকে সরাতে আইনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।' তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পর এখন মৃত্যুদণ্ডের রায় রাজনৈতিকভাবে আগ্রহী বিচারকদের মাধ্যমে হাসিনার সমর্থন দুর্বল করার প্রচেষ্টা।'

বাংলাদেশের প্রাক্তন হাইকমিশনার বীণা সিক্রিও সিদ্ধান্তকে 'অবৈধ' বলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'আদালত বলছে ১,৪০০ মানুষ নিহত, কিন্তু এদের পরিচয় কোথায়? প্রমাণ কী? এত গুরুতর অভিযোগে ন্যূনতম তদন্তও হয়নি।' তাঁর অভিযোগ, রায় 'তড়িঘড়ি' করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন নজির আগে নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

হাসিনার রায় ঘোষণার আগে ঢাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। সমর্থকদের ককটেল বিস্ফোরণ ও বিক্ষোভের মাঝে ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বীণা সিক্রির তীব্র মন্তব্য, 'যে কারণে হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল, ইউনূস সরকার এখন ঠিক সেই একই আদেশই জারি করছে।'

Advertisement

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সঞ্জয় মেস্টন আরও বিস্ফোরক দাবি করেন। তাঁর কথায়, 'বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আমেরিকা ও পাকিস্তান মিলেই এই খেলা খেলছে। তাদের লক্ষ্য, বাংলাদেশকে পাকিস্তানের একটি উপ-প্রদেশের মতো করে তোলা এবং ভারতবিরোধী উগ্র ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করা।'

প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অশোক সজ্জনহারও রায়কে 'প্রত্যাশিত' বলে মন্তব্য করেন। তাঁর বক্তব্য, 'ট্রাইব্যুনালের সব বিচারকই ইউনূস সরকারের বাছাই করা। তারা সেই সিদ্ধান্তই নেবেন যা সরকার চায়। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যার নির্দেশের কোনও প্রমাণ এখনও আদালতে পেশ হয়নি।'

 

Read more!
Advertisement
Advertisement