Advertisement

বাড়ি বাড়ি ঘুরে 'ক্লান্ত BLO', দুর্গাপুরে বাসস্ট্যান্ডে বসে ফর্ম বিলি করে বিতর্ক

বাড়ি বাড়ি গিয়ে SIR-র ফর্ম বিলির কথা ছিল, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সেই ফর্ম বিলি হচ্ছে বাস স্ট্যান্ডের শেডের তলায় বসে। ছবিটা দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫২ নম্বর বুথের MAMC টাউনশিপের বিওয়ান শনি মন্দির বাস স্ট্যান্ডের।

দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ডে ফর্ম বিলি BLO-দেরদুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ডে ফর্ম বিলি BLO-দের
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • দুর্গাপুর,
  • 06 Nov 2025,
  • अपडेटेड 5:47 PM IST

বাড়ি বাড়ি গিয়ে SIR-র ফর্ম বিলির কথা ছিল, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সেই ফর্ম বিলি হচ্ছে বাস স্ট্যান্ডের শেডের তলায় বসে। ছবিটা দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫২ নম্বর বুথের MAMC টাউনশিপের বিওয়ান শনি মন্দির বাস স্ট্যান্ডের। যাকে ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে দুর্গাপুরে। অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্ত হয়ে যাওয়াতেই নাকি তিনি বাস স্ট্যান্ডে বসে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ফর্ম দিচ্ছেন, এমনই সাফাই মহিলা বিএলও কর্মীর। যদিও তিনি জানিয়েছেন যাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিয়ে এসেছেন তাঁদেরই ফর্ম বাসস্ট্যান্ডে বসে তিনি গ্রহণ করছেন। তাঁর কাছে রেজিস্ট্রার রয়েছে। 

দুর্গাপুরের ওই বাসস্ট্যান্ড থেকে এভাবে ফর্ম দেওয়ায় কিন্তু ক্ষোভ দেখা গিয়েছে এলাকার একাংশের ভোটারের মধ্যে। যদিও তৃণমূলের একজন BLA বলছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিয়ে আসার পর ক্লান্ত হয়ে পড়েন BLO। তাই এখান থেকেই ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। 

একই ঘটনা ঘটেছে কুলটির নিয়ামতপুরে। সেখানে এক জায়গায় বলে SIR-এর ফর্ম বিলির অভিযোগ উঠেছে। আসানসোল লোকসভার কুলটি বিধানসভার অন্তর্গত নিয়ামতপুরের বিষ্ণুবিহার এলাকায় ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগ, বুথ নম্বর ৯৯ ও ১০০–এর দুই বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) কমিশনের নির্দেশ অমান্য করে বাড়ি বাড়ি না গিয়ে এক জায়গায় বসেই SIR ফর্ম বিলি করছেন।

সূত্রের খবর, নিয়ামতপুরের স্বর্ণা অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে টেবিল-চেয়ার পেতে একপ্রকার ‘শিবির’ করে ফর্ম বিতরণ চলছিল। যদিও নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ, প্রত্যেক বিএলওকে ভোটার তালিকা সংশোধনের ফর্ম বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ ও সংগ্রহ করতে হবে।

এই বিষয়ে জেলা শাসক এস. পুনম্বলম বলেন, “আমাদের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে — বিএলওদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিতরণ ও সংগ্রহ করতে হবে। এটি সম্পূর্ণ মাঠ পর্যায়ের কাজ, কোনও নির্দিষ্ট স্থানে বসে করা যায় না।”

অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা কেশব পোদ্দার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “আমাদের কাছে খবর এসেছে যে নিয়ামতপুরের স্বর্ণা অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে বুথ ৯৯ ও ১০০–এর বিএলওরা টেবিল-চেয়ার পেতে ফর্ম বিতরণ করছেন। আমাদের বিএলএ–২ একাধিকবার আপত্তি জানালেও তারা কাজ চালিয়ে যান। আমরা এর লিখিত অভিযোগ জেলা শাসকের কাছে জমা দেব এবং দায়ী বিএলওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাব, কারণ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়েই ফর্ম বিলি করা বাধ্যতামূলক।”

Advertisement

অভিযুক্ত বিএলও চৈতালি ব্যানার্জি নিজের বক্তব্যে বলেন, “এখানে সাততলা অ্যাপার্টমেন্ট। প্রতিটি ফ্ল্যাটে গিয়ে ফর্ম দেওয়া বাস্তবিকই কঠিন। তাই বাসিন্দাদের অনুমতি নিয়ে আমরা নীচে মাত্র এক ঘণ্টা বসে ফর্ম দিয়েছি।”

অন্য এক বিএলও আশিস রায় বলেন, “বাসিন্দাদের সুবিধার জন্যই আমরা এখানে ফর্ম বিলি করেছি। পরে আমরা অন্য এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়েই ফর্ম বিতরণ করব।” তবে এলাকার এক বাসিন্দা অনিরুদ্ধ চৌবে জানান, “এখানেই ফর্ম বিলি হওয়ায় তেমন অসুবিধা হয়নি। যদিও বাড়ি বাড়ি গেলে আরও ভালো হতো, কারণ সঙ্গে সঙ্গে ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা যেত। তবে আমরা এক জায়গায় বসে ফর্ম বিলির পরামর্শ দিয়েছি — এই অভিযোগ সঠিক নয়।”

এই ঘটনাকে ঘিরে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্যের অভিযোগে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিএলওদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

TAGS:
Read more!
Advertisement
Advertisement