
রাজ্যে SIR ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এসআইআর এর কাজ শুরু হতেই, তার বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল। মঙ্গলবার সেই ইস্যুতেই ফের সুর চড়ালেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, 'এত সংখ্যক ফর্ম জমা পড়ার পরও খসড়া তালিকা তৈরি শুরু হচ্ছে না।' তিনি বলেন, 'ইলেকশন কমিশন বলেছে প্রায় পৌনে তিন কোটি ফর্ম জমা হয়েছে। এখন তাঁদের লিস্ট তৈরি করতে হবে। ওঁরা একটা টাইমলাইন দিক, রোজ কত করে নাম লিস্টে উঠবে। প্রতিদিন ৩০-৪০ লাখ করে নাম সংযোজন না করলে তালিকায় সমস্যা হবে। কমিশন ঠিক করে বলুক, কবে সব নাম যোগ হবে। আরও ম্যানপাওয়ার দরকার হলে রেল থেকে, ব্যাঙ্ক থেকে আনুক। কিন্তু সঠিক নাম থাকা চাই।'
এরপরেই সিদ্দিকুল্লার কঠোর হুঁশিয়ারি, 'বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাওয়া মানে আগুন নিয়ে খেলা। আমরা সেটা কোনওভাবেই মেনে নেব না।' খসড়া তালিকায় সামান্য গরমিল হলেই তার ফল ভাল হবে না বলে সতর্কবাণী সিদ্দিকুল্লার।
এর আগেও অবশ্য একই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, 'নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে বিজেপি রাজনীতির হাওয়া তুলতে চাইছে। চাপ তৈরি করা হচ্ছে।' বুথে বুথে খসড়া তালিকা টাঙিয়ে SIR এর কাজ এগনোর সুপারিশ করেন তিনি।
সম্প্রতি বিহার নির্বাচনে ঝড় তুলেছে বিজেপি-জেডিইউ। আর তারপরেই নতুন উদ্যমে মেতেছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপি নেতাদের অনেকেরই দাবি, 'বিহারে হয়েছে, এবার বাংলায় হবে।' এহেন রাজনৈতিক আবহেই এসআইআরকে কেন্দ্র করে চড়ছে উত্তেজনার পারদ।